বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ১০০ সিসি টিভিএস মোটরসাইকেল নিয়ে আলোচনা

ধারণা করা হয় যে কম্যুটার সেগমেন্টে বাংলাদেশে এখনো ১০০ সিসি’র বাইকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। আর টিভিএস ব্র্যান্ড অনেক আগে থেকেই এই ১০০ সিসি সেগমেন্টে বিশাল শেয়ার দখল করে রেখেছে। আর প্রতিনিয়ত তারা এই সেগমেন্টে ভালো ভালো বাইক যোগ করে চলেছে। তাই, যারা টিভিএস’র ১০০ সিসি’র সেরা বাইকগুলো সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাদের জন্য আজ ৫টি সেরা ১০০ সিসি টিভিএস মোটরসাইকেল তুলে ধরবো। টিভিএস’র ফিল্টার বাদ দিলে এই বাইকগুলো সেরা ১০০ সিসি’র বাইকের তালিকায়’ও নিজেদের স্থান রাখতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
৫টি সেরা ১০০ সিসি টিভিএস মোটরসাইকেল রিভিউ
১। টিভিএস মেট্রো ১০০
শহুরে কম্যুটারদের মাঝে টিভিএস মেট্রো ১০০ বেশ সুপরিচিত একটি বাইক। যার সবচেয়ে বড় কারণে এই বাইকের মাইলেজ। বলা বাহুল্য যে এই প্রাইস রেঞ্জে এই বাইক সেরা মাইলেজ অফার করে থাকে। ডিজাইনের দিক দিয়ে টিভিএস মেট্রো ১০০ বেশ স্ট্যান্ডার্ড। বাইকের সবকিছুই বেশ জায়গা মতো বসানো এবং অভিযোগ করার কোনো স্কোপ নেই। এই বাইকের ইঞ্জিন ৭৫০০ আরপিএমে ৫.৫ বিএইচপি পাওয়ার ও ৫০০০ আরপিএমে ৭.৫ ন্যানোমিটার টর্ক জেনারেট করতে পারবে।
বাইকে কিক ও ইলেক্ট্রিক স্টার্টিং সিস্টেম রয়েছে। আর এই বাইক থেকে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ ও ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি পাওয়া যাবে। সামনে থাকছে একটি টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে ৫-স্টেপ অ্যাডযাস্টেবল হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্বার। আর সামনে ও পেছনে থাকছে ড্রাম ব্রেইক।
২। টিভিএস এক্সএল ১০০ হেভি-ডিউটি
প্রথমে শুধু ডেলিভারি রাইডারদের টার্গেট করে বাইকটি মার্কেটে আনা হলেও এখন অনেকেই দৈনন্দিন কম্যুটের কাজে বাইকটি ব্যবহার করছেন। এই বাইকের ইঞ্জিন ৬০০০ আরপিএমে ৪.৩ বিএইচপি পাওয়ার ও ৩৫০০ আরপিএমে ৬.৫ ন্যানোমিটার টর্ক জেনারেট করতে পারবে। রাইডারদের মতে এই বাইক থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ পাওয়া যায়। বাইকের সামনে থাকছে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে সুইং-আর্ম হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্বার। বাইকের সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেইক ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাইকের এতো জনপ্রিয় হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে স্কুটির মতো সামনে বড় জায়গা। তাই যাদের অনেক কিছু বহন করতে হয়, তাদের জন্য এই বাইকটি একটি ভালো চয়েস হতে পারে।
৩। টিভিএস এক্সএল ১০০ কমফোর্ট
এই বাইকের ডিজাইন প্রায় হেভি-ডিউটি ভার্শনটার মতোই। শুধু হেডল্যাম্পের ডিজাইনে কিছুটা পার্থক্য চোখে পরে। তবে পাওয়ারের দিক দিয়ে বাইকটি হেভি-ডিউটি ভার্শনের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। এই বাইকের কিক ও ইলেক্ট্রিক স্টার্ট সিস্টেম রয়েছে। সাথে থাকছে ৪ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক। এই বাইক থেকেও ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ পাওয়া যাবে এবং সর্বোচ্চ গতি তোলা যাবে প্রায় ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। ভালো লাগলে টিভিএস এক্সএল ১০০ কমফোর্টের সম্পূর্ণ রিভিউ দেখে আসতে পারেন।
৪। টিভিএস মেট্রো প্লাস
টিভিএস মেট্রোর কিছুটা আপগ্রেডেড ভার্শন এই বাইকটি। মোটামুটি সবকিছু একই থাকলে পার্থক্য থাকছে ইঞ্জিন পাওয়ার ও পারফরম্যান্সে। এই বাইকের ১১০ সিসি’র সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন থাকছে যার ম্যাক্স পাওয়ার হচ্ছে ৭০০০ আরপিএমে ৮.৪ বিএইচপি ও ৫০০০ আরপিএমে ৮.৭ ন্যানোমিটার টর্ক। এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ও মাইলেজ পাওয়া যাবে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার। সামনে থাকছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে টুইন শক অ্যাবজর্বার। বাইকটি ড্রাম ও ডিস্ক ব্রেইক উভয় ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়।
৫। টিভিএস রেডিয়ন
এই বাইকেও ১১০ সিসি’র ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যার ম্যাক্স পাওয়ার ৭০০০ আরপিএমে ৮.৩ বিএইচপি ও ম্যাক্স টর্ক ৫০০০ আরপিএমে ৮.৭ এনএম। এই বাইক থেকেও ৫০ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ পাওয়া যাবে ও বাইকে কিক ও ইলেক্ট্রিক উভয় স্টার্টিং সিস্টেম রয়েছে। বাইকের সামনে থাকছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে টুইন শক অ্যাবজর্বার। সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেইক ব্যবহার করা হয়েছে।
পরিসংহার
তো এগুলোই ছিল ১০০ সিসি’র সেরা টিভিএস মোটরসাইকেল রিভিউ। মূল্যভেদে এই বাইকগুলো ৮২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,১৫,০০০ টাকার মাঝে পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে। ডিজাইন ও বডি বিল্ড আরো ভালো চাইলে এই সেগমেন্টে অন্যান্য ব্র্যান্ডের আরো কিছু বাইক পাবেন। তবে টিভিএস তার মাইলেজের জন্য সর্বদাই সেরা।































