বাংলাদেশের সেরা হোন্ডা কমিউটার বাইক সম্পর্কে আলোচনা

বাংলাদেশের শহরগুলোর ট্রাফিক জ্যামের কারণে ভালো কমিউটার বাইক সিলেক্ট করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এখানে এফিশিয়েন্সির পাশাপাশি চাই দীর্ঘ সময় টিকে থাকার মতো ডিউরেবিলিটি। সৌভাগ্যবশত বাংলাদেশে একাধিক ভালো ভালো কোম্পানীর প্রচুর পরিমাণ কমিউটার বাইক রয়েছে, যার মাঝে হোন্ডা অন্যতম। বাংলাদেশের বাইক লাভারদের সাথে হোন্ডা এতো ওতোপ্রোতভাবে জড়িত যে এখনো দেশের অনেক মানুষের কাছে বাইক আর হোন্ডা সমার্থক শব্দের মতো কাজ করে। তাই কমিউটার বাইকের কথা উঠলে সবাই প্রথমে হোন্ডা ব্র্যান্ডটিকেই প্রিফার করেন। আপনিও কি হোন্ডা কমিউটার বাইক খুজছেন? তাহলে আপনার জন্যই আজ আমরা তুলে ধরছি বাংলাদেশের কিছু সেরা হোন্ডা কমিউটার বাইক সম্পর্কে।
সেরা ৫টি হোন্ডা কমিউটার বাইক
১। Honda CB Shine SP
Honda CB Shine SP বাইকটির রয়েছে কিছুটা স্লিম ও স্পোর্টি লুকের কম্বিনেশন। বাইকের ওজন মাত্র ১২৩ কেজি, তাই ব্যস্ত সড়কে বেশ সহজেই হ্যান্ডেল করা যায়। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২৪.৭৩ সিসির ইঞ্জিন যা ১০.৫৭ বিএইচপি সর্বোচ্চ পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। তাই বাইকটি থেকে আপনি বেশ সহজেই ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ পেয়ে যাবেন। কমিউটার বাইকগুলোর জন্য যদিও সর্বোচ্চ গতি তেমন রেলেভেন্ট না, তাও বলি রাখছি যে এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। বাইকের সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে রয়েছে হাইড্রোলিক সাসপেনশন। এছাড়া থাকছে ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেকের কম্বিনেশন।
২। Honda Livo
Honda Livo বাইকটির রয়েছে বেশ মডার্ন একটি লুক। বাইkটির ওজন মাত্র ১১৪ কেজি। Honda Livo বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১০৯.৫১ সিসির ইঞ্জিন যা ৮.৬৭ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। বাইকের মাইলেজ ৫০+ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং সর্বোচ্চ গতি ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। বাইকের সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে রয়েছে স্প্রিং-লোডেড হাইড্রোলিক সাসপেনশন। বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া থাকছে টিউবলেস টায়ার ও অ্যালয় হুইল।
৩। Honda Dream Neo
Honda Dream Neo বেশ সিম্পল লুক নিয়ে বাজারে এসেছে। বাইকের ওজন মাত্র ১০৭ কেজি, তাই যেকোনো রাইডার বেশ সহজেই বাইকটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১০৯.১৯ সিসির ইঞ্জিন যা ৮.৩১ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। বাইক থেকে আপনি ৫০+ কিলোমিটারের মাইলেজ ও ৮৬ কিলোমিটারের টপ স্পিড পেয়ে যাবেন। এই বাইকের সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে এবং দেয়া হয়েছে টিউবলেস টায়ার ও অ্যালয় হুইল।
৪। Honda CB Unicorn 160
Honda CB Unicorn 160 বাইকটির লুক তুলনামূলকভাবে বেশ প্রিমিয়াম। ১৪০ কেজি ওজনের এই বাইকে ১৬২.৭১ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা ১২.৭৩ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। বাইকের মাইলেজ ৪৫+ কিলোমিটার ও টপ স্পিড ১০৬ কিলোমিটার। বাইকের সামনে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ও পেছনে মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। সামনে থাকছে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে থাকছে ড্রাম ব্রেক সেটআপ।
৫। Honda X-Blade
Honda X-Blade এর ডিজাইন বেশ অ্যাগ্রেসিভ ও শার্প। বাইকটির ওজন ১৪০ কেজি। দেয়া হয়েছে ১৬২.৭১ সিসির ইঞ্জিন যা ১৩.৬৭ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। বাইকের মাইলেজ ৪৫+ কিলোমিটার ও টপ স্পিড ১১৫ কিলোমিটার। সামনে থাকছে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে থাকছে ড্রাম ব্রেক সেটআপ। এছাড়া রয়েছে টিউবলেস টায়ার ও অ্যালয় হুইল।
পরিসংহার
তো ছিল বাংলাদেশের ৫টি সেরা হোন্ডা কমিউটার বাইক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। সবগুলো বাইক বেশ কিছুটা সময় ধরে বাংলাদেশের বাজারে রয়েছে এবং রাইডারদের মাঝে বেশ আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তাই আপনিও নির্দ্বিধায় এই তালিকা থেকে আপনার পছন্দের হোন্ডা কমিউটার বাইকটি সিলেক্ট করে ফেলতে পারেন।































