বাংলাদেশের সেরা রানার কমিউটার বাইক সম্পর্কে আলোচনা
নিত্যদিনের সাথী হিসেবে কমিউটার বাইকগুলো অসাধারণ, কারণ এগুলো ভালো ফুয়েল এফিশিয়েন্সি অফার করে এবং একই সাথে লম্বা সময় ধরে নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স ডেলিভার করে যায়। রানার, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড, তাদের বেশ কিছু এমন কমিউটার বাইক রয়েছে যেগুলো বাজারে বেশ ভালো পারফর্ম করছে। শহুরে জীবনের সাথে খুব সহজেই ফিট হয়ে যায় এমন কমিউটার বাইকগুলো রানার বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে নিয়ে এসেছে। তাই এই বাইকগুলোর মাইলেজ ভালো, আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্যও বটে। তাই আজকের লেখায় আমরা বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার কমিউটার বাইক সম্পর্কে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার কমিউটার বাইক
১। Runner Bullet 100
Runner Bullet 100 বাইকটি দেখতে বেশ স্লিম ও সিম্পল, যা প্রতিদিনের কমিউটিং-এর জন্য পারফেক্ট। বাইকের ওজন মাত্র ৯৯ কেজি হওয়ায় যেকোনো বয়সী রাইডার বেশ সহজেই বাইকটি হ্যান্ডেল করতে পারবেন। বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৭.৬৮ সিসির ইঞ্জিন, যা ৮.০৪ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। তাই এই বাইক থেকে বেশ সহজেই ৫০+ কিলোমিটারের মাইলেজ পাওয়া সম্ভব, আর সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিতার প্রতি ঘন্টা। বাইকের সামনে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে দেয়া হয়েছে কয়েল স্প্রিং। এছাড়া সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
২। Runner Turbo 125
Runner Turbo 125 বাইকটির ডিজাইন বেশ শার্প, অ্যাগ্রেসিভ ও স্পোর্টি। ১২৬ কেজি ওজনের এই বাইক থেকে বেশ স্ট্যাবল হ্যান্ডলিং পাওয়া যায়। বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে ১২৪.৮ সিসির ইঞ্জিন যা ১১ বিএইচপি পাওয়ার ও ৪৫ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। এছাড়া বাইকের সর্বোচ্চ গতি ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। বাইকের সামনে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে দেয়া হয়েছে টুইন রিয়ার শক। এছাড়া বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
৩। Runner Cheeta
Runner Cheeta বাইকটি দেখতে একদমই বেসিক, কোনো থ্রিল নেই। তবে প্রতিদিনের কমিউটিং-এর জন্য বাইকটি বেশ এফিশিয়েন্ট। ৯৮.১৬ সিসির ইঞ্জিন মাত্র ৬.৪ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম, তবে মাইলেজ পাওয়া যাবে ৫৫+ কিলোমিটারের। বাইকের সামনে থাকছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে কয়েল স্প্রিং সাসপেনশন। সাথে থাকছে ড্রাম ব্রেকের সেটআপ।
৪। Runner Knight Rider
Runner Knight Rider বাইকটির রয়েছে বেশ মডার্ন ও স্পোর্টি ডিজাইন। বাইকটির ওজন ১৩৬ কেজি, তাই হ্যান্ডলিং মোটামুটি ভালোই বলা যায়। এই বাইকে রানার ব্যবহার করেছে ১৪৯.২ সিসির ইঞ্জিন যা ১১.৯২ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম। তাই রানারের অন্যান্য কমিউটার বাইকগুলোর তুলনায় এটার মাইলেজ হালকা কম। বাইকে দেয়া হয়েছে ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেকের সেটআপ। এছাড়া থাকছে অ্যালয় হুইল ও টিউবলেস টায়ার।
৫। Runner Deluxe
রানার ডিলাক্স এই ব্র্যান্ডের আরো একটি জনপ্রিয় বাইক। বাইকটি দেখতে একেবারেই সিম্পল ও ক্লাসিক ডিজাইনের। বাইকের ওজন মাত্র ৮৭ কেজি। ৮৫ সিসির ইঞ্জিন মাত্র ৫.৮ বিএইচপি পাওয়ার জেনারেট করতে সক্ষম, তবে মাইলেজ পেয়ে যাবেন প্রায় ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার। তাই এই বাইককে মাইলেজ কিং হিসেবে আখ্যা দেয়াই যায়। বাইকের সামনে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে দেয়া হয়েছে ডুয়াল শক অ্যাবজর্বার। এছাড়া সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেকের সেটআপ ব্যবহার করা হয়েছে।
পরিসংহার
তো এই ছিল সাশ্রয়ী মূল্যে রানারের কিছু সেরা কমিউটার বাইকের তালিকা। সবগুলো বাইক বেশ কিছুটা সময় ধরে বাংলাদেশের বাজারে রয়েছে এবং রাইডারদের মাঝে বেশ আস্থা অর্জন করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তাই আপনিও নির্দ্বিধায় এই তালিকা থেকে আপনার পছন্দের রানার কমিউটার বাইকটি সিলেক্ট করে ফেলতে পারেন।































