মোটরসাইকেলের টায়ারের বিভিন্ন ধরণ এবং বাইক টায়ার কোড
6 মিনিটে পড়া যাবে
6 মিনিটে পড়া যাবে

মোটরবাইক মডিফাই করানোর ইচ্ছা থেকে হোক, কিংবা দুর্ঘটনার পর, অথবা কোনও রকম বড় কারণ ছাড়াই শুধু মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার মোটরসাইকেলের টায়ার একটা সময় ঠিকই বদলাতে হয়। দেশের বাজারে মোটরসাইকেল ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, একই ভাবে বাইক টায়ারের ক্ষেত্রেও এখন ব্যবহার ও গঠনের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন ও মেয়াদের অপশন চলে এসেছে।কিন্তু আমরা টিউব আর টিউবলেস টায়ার ছাড়া মোটরসাইকেলের টায়ারের আর কোনও প্রকারভেদ কি জানি? একই সাথে বাইক টায়ারের গায়ে যেই ছোট-বড় কোড লেখা থাকে, সেগুলো কি কখনো বোঝার চেষ্টা করেছি? আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি মোটরসাইকেলের টায়ার এবং এর সাথে জড়িত যত ধরণের বিষয় আছে, সবকিছু নিয়ে তৈরি করেছি। আশা করি এটা আপনাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।
এরপর আমরা দেখবো মোটরসাইকেল টায়ারের ধরণ অনুযায়ী প্রকারভেদ। ব্যবহার ও গঠনগত দিক থেকে মোটরসাইকেলের টায়ারকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে সেগুলো নিয়ে কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছিঃ
মোটরসাইকেল টায়ারের ধরণ ও প্রকারভেদ
মোটরসাইকেল টায়ারের ধরণ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে বাইক টায়ার নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে টিউব সহ কিংবা টিউবলেস টায়ার। যেকোন ধরণের মোটরসাইকেলের টায়ারকে এই দুই শ্রেণির মধ্যে ফেলা যায়। আমরা এই দুই শ্রেণির টায়ারের পার্থক্য জানার পাশাপাশি বিভিন্ন মোটরসাইকেল টায়ারের ধরণ সম্পর্কে জানবো।টিউব বনাম টিউবলেস টায়ার
| পার্থক্যের বিষয় | টিউব টায়ার | টিউবলেস টায়ার |
| জনপ্রিয়তা ও প্রচলন | অধিক প্রচলিত কিন্তু কম জনপ্রিয় | অধিক জনপ্রিয় কিন্তু কম প্রচলিত |
| ওজন | ওজনে বেশি | ওজনে হালকা |
| মাইলেজ দক্ষতা | ওজনে বেশি হওয়ায় মাইলেজ কম | ওজনে হালকা হওয়ায় মাইলেজ বেশি |
| নিয়ন্ত্রণের সুবিধা | বাতাস কমে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। | বাতাসের চাপ হুট করে কমবেশি হয়না। তাই এতে নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় নেই। |
| ফুটো বা পাংচার মেরামত করা | টিউব টায়ারের পাংচার মেরামত করা বেশ সময়সাপেক্ষ কাজ, পুরোটা খুলতে হয়। কিন্তু এই ব্যাপারে আমাদের দেশের মেকানিকদের অভিজ্ঞতা বেশি আর সহজলভ্য। | টিউবলেস টায়ারের মেরামত করানো বেশ অল্প সময়ের ব্যাপার, টায়ার খুলতে হয় না। ছোট ফুটোর জন্য পাংচার কিট থাকলে নিজেই ঠিক করা যায়। দেশে এই ব্যাপারের অভিজ্ঞ মেকানিকের সংখ্যা কম। |
| ফুটো হওয়ার পর বাইক চালানো | টিউব টায়ার পাংচার হলে বাইক চালানো যায় না, ঠেলে অথবা গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে হয়। | টায়ার পাংচার হলেও সেটিকে আরো কিছুক্ষণ চালিয়ে নিরাপদ জায়গায় কিংবা মেকানিকের গ্যারেজে নিতে পারবেন। |
| মেইনটেনেন্স খরচ ও দাম | টিউব টায়ার মেরামত করা কিংবা পরিবর্তন করা বেশ সাশ্রয়ী। দামও খুব একটা বেশি না। | টিউবলেস টায়ার মেরামত করা বা মেইন্টেনেন্স খরচ বেশি। তাছাড়া দাম বেশি তাই বদলানোর সময় খরচও বেশি। |
| নিরাপত্তা | পাংচারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কম। হঠাৎ পাংচার হলে অনেক বাতাস বেরিয়ে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ হারায়। বাইক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি। | টায়ার পাংচার হলেও বেশ আস্তে আস্তে বাতাস বের হয়। ফলে হুট করে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারানো বা দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকি নেই। |







































