গাড়ির চুরি প্রতিরোধঃ ২০২৫ সালের সেরা জিপিএস ট্র্যাকার এবং অ্যান্টি-থেফট ডিভাইস
গাড়ির চুরি হওয়ার সংখ্যা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চোররা এখন বিভিন্ন অ্যাডভান্সড টুল ব্যবহার করে অনেক অল্প সময়ে গাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারছে। অনেক সময় আবার চুরির কোনো ট্রেসই পাওয়া যায় না। তাই আপনার যদি গাড়ি থাকে, তবে মডার্ন জিপিএস ট্র্যাকার ও অ্যান্টি-থেফট ডিভাইস আপনার থাকতেই হবে। এতে করে দূর থেকেও আপনি আপনার গাড়ি লাইভ ট্র্যাক করতে পারবেন এবং প্রয়োজনের সময় ইঞ্জিন লক করে দিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক এমনই কিছু জিপিএস ট্র্যাকার ও অ্যান্টি-থেফট ডিভাইসের ধরণ সম্পর্কে।
১. রিয়েল-টাইম লোকেশন আপডেট দেয়া জিপিএস ট্র্যাকার
বর্তমানে Concox GPS Tracker ও Finder GPS Tracker বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ডিভাইসগুলো আপনার ফোনে লাইভ লোকেশন আপডেট পাঠাতে পারে। তাই আপনার গাড়ি আপনার অনুমতি ব্যাতীত মুভ করার সেকেন্ডের মধ্যে আপনি নোটিফিকেশন পাবেন। আবার এই ডিভাইসগুলোতে জিও-ফেন্সিং মেকানিজম রয়েছে। এতে করে আপনার গাড়ি একটি নির্দিষ্ট এরিয়ার বাইরে চলে গেলেই আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
২. রিমোট ইঞ্জিন লক ফিচার থাকা জিপিএস ট্র্যাকার
Concox Premium এর মতো জিপিএস ট্র্যাকারগুলোতে রিমোট ইঞ্জিন লক মেকানিজম রয়েছে। তাই আপনার গাড়ি চুরি হয়ে গেলেও আপনি দূর থেকে আপনার গাড়ির ইঞ্জিন লক করে ফেলতে পারবেন। বাংলাদেশে এই ধরণের ফিচারগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে আপনি গাড়ি রিকভার করতে পারবেন কি না তা নির্ভর করে আপনার তড়িৎ অ্যাকশনের উপর।
৩. সহজে ইন্সটল করা যায় এমন মিনি ম্যাগনেটিক ট্র্যাকার
TK905 ও TKSTAR এর মতো ট্র্যাকারগুলো এখন গাড়িতে বেশ সহজেই ইন্সটল করা যায়। তাই এগুলো ইন্সটল করে দিতে আপনার কোনো প্রফেশনালের পেছনে টাকা খরচ করতে হবে না। আপনি খুব সহজেই এই ট্র্যাকারগুলোকে সিটের নিচে বা প্যানেলের পেছনে ইন্সটল করে রাখতে পারেন। এই ডিভাইসগুলো ব্যাটারি ক্যাপাসিটির উপর নির্ভর করে এগুলো চার্জ না দিয়েই কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস ব্যাকাপ দিতে পারে।
৪. চুরি প্রতিরোধ করার জন্য ফিজিকাল অ্যান্টি-থেফট ডিভাইস
আপনার গাড়ির চুরি প্রতিরোধ করার জন্য ফিজিকাল ডিভাইসগুলো একটি অতিরিক্ত লেয়ারের নিরাপত্তা অ্যাড করে। এই কারণেই Stoplock Pro ও The Club 3000 এর মতো স্টিয়ারিং হুইল লকগুলো বাংলাদেশে অনেকেই ব্যবহার করছে। এমনকি হুইল ক্ল্যাম্প ও পেডাল লকের মতো সাধারণ টুলগুলোও আপনার গাড়ির চুরি প্রতিরোধ করতে পারে। যদিও চুরি হওয়া গাড়ি রিকভার করার ক্ষেত্রে এগুলো সাহায্য করে না, তবে গাড়ি চুরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে আনে।
৫. তাৎক্ষণিক ব্রেক-ইন এলার্টের জন্য স্মার্ট অ্যালার্ম সিস্টেম
Viper ও Compustar এর মতো ব্র্যান্ডগুলোর এমন ডিভাইস রয়েছে, যেগুলোতে ভাইব্রেশন, শক ও গ্লাস-ব্রেক সেন্সরের মতো ফিচারগুলো রয়েছে। তাই কেউ গাড়িতে স্পর্শ করলে বা দরজা খুললে আপনার ফোনে এলার্ট চলে যাবে। আবার কিছু ডিভাইসে উচ্চশব্দের সাইরেন থাকে, যা চোরকে প্রতিহত করার ভূমিকা পালন করে।
পরিসংহার
২০২৫ সালে গাড়ি চুরি প্ররিরোধ করার জন্য আপনার ট্র্যাকিং ও ফিজিকাল ব্যারিয়ারের কম্বিনেশন ব্যবহার করতে হবে। এই দুটোর সলিড কম্বিনেশনই পারে আপনার গাড়িকে নিরাপদ রাখতে। তাই গাড়ি ক্রয়ের সাথে সাথেই ভালো সিকিউরিটি ডিভাইসগুলোতে ইনভেস্ট করা উচিত, যা করে গাড়ি দূরে থাকলেও মানসিক শান্তিতে থাকা যায়।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১. বাংলাদেশে কোন জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করা উচিত?
Concox ও Finder জিপিএস ট্র্যাকারগুলো বাংলাদেশে খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং ব্যবহার করা যায়।
২. জিপিএস ট্র্যাকারে কি মাসিক সাবস্ক্রিপশন পে করতে হয়?
হ্যা, অনেক জিপিএস ট্র্যাকারে একটি মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি পে করতে হয়।
৩. ম্যাগনেটিক ট্র্যাকার কি কাজ করে?
হ্যা, সঠিক লোকেশনে সেট করতে পারলে ম্যাগনেটিক ট্র্যাকারগুলো ভালো কাজ করে।
৪. স্টিয়ারিং হুইল লক কি কাজ করে?
হ্যা, স্টিয়ারিং হুইল লকগুলো আপনার গাড়ি চুরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা হ্রাস করে।
৫. চুরি হওয়া গাড়ি থামাবো কিভাবে?
আপনার চুরি হওয়া গাড়ি আপনি দূর থেকেই থামাতে পারবেন যদি গাড়িতে এমন জিপিএস ট্র্যাকার ইন্সটল করা থাকে যেটিতে রিমোট ইঞ্জিন লক ফিচার রয়েছে।






































