ব্যাটারি চালিত উত্তপ্ত মোটরসাইকেল গিয়ার সম্পর্কে আলোচনা
4 মিনিটে পড়া যাবে
4 মিনিটে পড়া যাবে

শীতকাল মানেই কুয়াশা ভেদ করে ঠান্ডাকে সাথে করে বাইক চালানো। কনকনে শীতে বাইক চালানো একদিকে যেমন কষ্টদায়ক, তেমনই সড়কপথে চলাচলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে সকল বাইক রাইডারকেই নেয়া উচিৎ যথাযথ সতর্কতা। বাইক রাইডারদের শারীরিক নিরাপত্তা ও নিরাপদ বাইক রাইডিং এর জন্য গিয়ার ব্যবহার করা উচিত। তাই শীতকালে নেয়া উচিৎ যথাযথ হিটিং গিয়ার।
হিটিং গিয়ার মূলত ঠান্ডার মাঝে সকল বডি পার্টস গরম রাখার সহায়ক হিসেবে কাজ করে। জ্যাকেট এবং গ্লাভস এর মতো উপাদান যথাযথ হিটিং গিয়ার হিসেবে কাজ করে। কালের পরিক্রমায় এসকল হিটিং গিয়ারে এসেছে পরিবর্তন, সেই সাথে যোগ হয়েছে নতুনত্ব এবং আধুনিক সকল ফিচার। আর এই আধুনিক ফিচার সম্বলিত সকল হিটিং গিয়ারের মধ্যে রয়েছে ব্যাটারি চালিত নানা পোশাক উপকরণ, যেমনঃ হিটেড জ্যাকেট, হিটেড গ্লাভস, হিটেড সকস ইত্যাদি।
চলুন জেনে নেয়া যাক এইসকল আইটেমের ব্যবহার এবং ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
## ১. ব্লুটুথ হিটেড জ্যাকেট লাইনার
১২ ভোল্টের ব্যাটারি চালিত এই জ্যাকেটে রয়েছে শরীরের সকল গুরুত্বপূর্ণ অংশে হিট সরবরাহ করার সুব্যবস্থা। ঠান্ডা পরিবেশে এর কার্বন ফাইবারের হিটিং এলিমেন্টস দিবে পিঠ, বুক, হাত এবং কলার গরম রাখার সুব্যবস্থা। ব্লুটুথ টেকনোলজি ব্যবহার করে এর ১০ স্তরের তাপমাত্রা করা যাবে নিয়ন্ত্রণ। এর বাহিরের শেল খুব হালকা ওজনের নাইলনের তৈরি এবং ভিতরে থাকছে আরামদায়ক হিটিং ব্যবস্থা। শীতকালের গিয়ার হিসেবে এই উপকরণ রাইডারের পুরো শরীরকে গরম রাখতে তাই খুবই কার্যকর এবং মানানসই।
এই হিটিং জ্যাকেট একদিকে যেমন অত্যন্ত কার্যকর, তেমনই আধুনিক ফ্যাশনের সাথে খুবই মানানসই। তাই তরুণদের মাঝে দেখা যাচ্ছে হিটিং গিয়ার হিসেবে ব্যাটারি চালিত এই জ্যাকেট বেছে নেয়ার প্রবনতা। বাংলাদেশের বাজারে ৫,০০০-৮,০০০ এর ভেতর পাওয়া যায় এই হিটিং গ্লাভস ব্লুটুথ হিটেড জ্যাকেট লাইনার।
## ২. হিটিং গ্লাভস
শীতের সকালে হাত জমে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। ঘটনাটা সাধারণ হলে, এটি বেশ অস্বস্তিকর একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে অনেকের জন্য। আর সেই অস্বস্তি থেকে নিস্তারের কথা মাথায় রেখেই বাজারে আছে হিটিং গ্লাভস, যা হাত জমে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি রাইডারকে দিবে এক স্বস্তিদায়ক অনুভূতি। বাংলাদেশের বাজারে ৬০০-৮০০ এর ভেতর পাওয়া যায় এই হিটিং গ্লাভস।
## ৩. হিটিং সকস
শীতকালে পায়ের পাতা ফেঁটে যাওয়া এবং যেখান থেকে রক্ত ঝরা অনেকের জন্যই বেশ কষ্টদায়ক এক অভিজ্ঞতা। আর এই অভিজ্ঞতা থেকে সুরক্ষা দিতেই আছে হিটিং সকস। এর ব্যাটারিচালিত হিটিং সিস্টেম দিবে স্বস্তিদায়ক রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স এবং বিভিন্ন হিটিং স্টেজ দিবে বডি টেম্পারেচারের সুপরিকল্পিত বিন্যাস। বাংলাদেশের বাজারে ৩,০০০-৯,০০০ এর ভেতর পাওয়া যায় এই হিটিং সকস।
## তবে ব্যবহারের আগে খেয়াল রাখতে হবেঃ
### ক্যাবল এবং ফিউজ চেক করুন
ব্যাটারিচালিত গিয়ার এর নিরাপত্তার প্রধান এক উপকরণ হলো এর সঠিক ক্যাবলের ব্যবহার। প্রত্যকের বাইকের ব্যাটারির নির্ধারিত ভোল্টেজ থাকে। সাধারণত বাইকগুলোতে ১২ ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় এবং ইলেক্ট্রিক গিয়ারগুলোতেও এই ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো করে বানানো হয়। সে জন্য সঠিক মানের ক্যাবল ব্যবহার করা জরুরি যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকে।
### সঠিক গিয়ার পছন্দ করুন
বিদ্যুৎ চালিত জ্যাকেটের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, জ্যাকেটের হিটিং ক্ষমতা বুকের অংশে বেশি থাকে। কারন সেখানটাকে শরীরের নিরাপত্তার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিছু জ্যাকেটে হাতের অংশের জন্য কোনো হিটিং ব্যবস্থা থাকে না। তখন বুকের অংশ গরম হলেও হাত থাকে ঠান্ডা। আবার যে সকল জ্যাকেটে ফুল বডিতে হিটিং ব্যবস্থা থাকে, সেগুলোর বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকক্ষেত্রেই সমান হয় না। তাই জ্যাকেট পছন্দ করার সময় আপনার মূল প্রয়োজন কোনটি সেটি আগে নির্ধারণ করুন।
### গরমের মাত্রা নির্ধারণ করুন
সকলে সমান পরিমণ গরম সহ্য করতে পারে না। এজন্য হিটিং গিয়ারগুলোতে গরমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকে যা যে কেউ নিজের পছন্দমতো ঠিক করে নিতে পারে। সাধারণত প্রস্তুতকারকরা ১০০ থেকে ১৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের তাপমাত্রা নির্ধারণের ব্যবস্থা রাখে। তাই গিয়ার শুরুর প্রথমেই আপনার জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা নির্ধারন করে ফেলুন।
এসকল বিষয় বিবেচনায় রাখলে সহজেই একজন রাইডার তার পছন্দমতো হিটিং গিয়ার নির্ধারণ করে ফেলতে পারবে। সেই সাথে নিজ নিজ বাজেট অনুসারে তারা তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ নির্ধারণ করতে পারে।
যেকোনো বাইক বা স্কুটার রিভিউ, স্পেসিফিকেশন, ফিচারস এবং মোটরবাইকের প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন তথ্য পেতে ভিজিট করুন MotorGuide। বাংলাদেশে বিভিন্ন নতুন এবং ব্যবহৃত বাইক সম্পর্কিত তথ্য জানতে হলে চোখ রাখুন দেশের সেরা মোটরবাইক মার্কেটপ্লেস Bikroy-এ।
হিটিং গিয়ার মূলত ঠান্ডার মাঝে সকল বডি পার্টস গরম রাখার সহায়ক হিসেবে কাজ করে। জ্যাকেট এবং গ্লাভস এর মতো উপাদান যথাযথ হিটিং গিয়ার হিসেবে কাজ করে। কালের পরিক্রমায় এসকল হিটিং গিয়ারে এসেছে পরিবর্তন, সেই সাথে যোগ হয়েছে নতুনত্ব এবং আধুনিক সকল ফিচার। আর এই আধুনিক ফিচার সম্বলিত সকল হিটিং গিয়ারের মধ্যে রয়েছে ব্যাটারি চালিত নানা পোশাক উপকরণ, যেমনঃ হিটেড জ্যাকেট, হিটেড গ্লাভস, হিটেড সকস ইত্যাদি।
চলুন জেনে নেয়া যাক এইসকল আইটেমের ব্যবহার এবং ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
## ১. ব্লুটুথ হিটেড জ্যাকেট লাইনার
১২ ভোল্টের ব্যাটারি চালিত এই জ্যাকেটে রয়েছে শরীরের সকল গুরুত্বপূর্ণ অংশে হিট সরবরাহ করার সুব্যবস্থা। ঠান্ডা পরিবেশে এর কার্বন ফাইবারের হিটিং এলিমেন্টস দিবে পিঠ, বুক, হাত এবং কলার গরম রাখার সুব্যবস্থা। ব্লুটুথ টেকনোলজি ব্যবহার করে এর ১০ স্তরের তাপমাত্রা করা যাবে নিয়ন্ত্রণ। এর বাহিরের শেল খুব হালকা ওজনের নাইলনের তৈরি এবং ভিতরে থাকছে আরামদায়ক হিটিং ব্যবস্থা। শীতকালের গিয়ার হিসেবে এই উপকরণ রাইডারের পুরো শরীরকে গরম রাখতে তাই খুবই কার্যকর এবং মানানসই।
এই হিটিং জ্যাকেট একদিকে যেমন অত্যন্ত কার্যকর, তেমনই আধুনিক ফ্যাশনের সাথে খুবই মানানসই। তাই তরুণদের মাঝে দেখা যাচ্ছে হিটিং গিয়ার হিসেবে ব্যাটারি চালিত এই জ্যাকেট বেছে নেয়ার প্রবনতা। বাংলাদেশের বাজারে ৫,০০০-৮,০০০ এর ভেতর পাওয়া যায় এই হিটিং গ্লাভস ব্লুটুথ হিটেড জ্যাকেট লাইনার।
## ২. হিটিং গ্লাভস
শীতের সকালে হাত জমে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। ঘটনাটা সাধারণ হলে, এটি বেশ অস্বস্তিকর একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে অনেকের জন্য। আর সেই অস্বস্তি থেকে নিস্তারের কথা মাথায় রেখেই বাজারে আছে হিটিং গ্লাভস, যা হাত জমে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি রাইডারকে দিবে এক স্বস্তিদায়ক অনুভূতি। বাংলাদেশের বাজারে ৬০০-৮০০ এর ভেতর পাওয়া যায় এই হিটিং গ্লাভস।
## ৩. হিটিং সকস
শীতকালে পায়ের পাতা ফেঁটে যাওয়া এবং যেখান থেকে রক্ত ঝরা অনেকের জন্যই বেশ কষ্টদায়ক এক অভিজ্ঞতা। আর এই অভিজ্ঞতা থেকে সুরক্ষা দিতেই আছে হিটিং সকস। এর ব্যাটারিচালিত হিটিং সিস্টেম দিবে স্বস্তিদায়ক রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স এবং বিভিন্ন হিটিং স্টেজ দিবে বডি টেম্পারেচারের সুপরিকল্পিত বিন্যাস। বাংলাদেশের বাজারে ৩,০০০-৯,০০০ এর ভেতর পাওয়া যায় এই হিটিং সকস।
## তবে ব্যবহারের আগে খেয়াল রাখতে হবেঃ
### ক্যাবল এবং ফিউজ চেক করুন
ব্যাটারিচালিত গিয়ার এর নিরাপত্তার প্রধান এক উপকরণ হলো এর সঠিক ক্যাবলের ব্যবহার। প্রত্যকের বাইকের ব্যাটারির নির্ধারিত ভোল্টেজ থাকে। সাধারণত বাইকগুলোতে ১২ ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় এবং ইলেক্ট্রিক গিয়ারগুলোতেও এই ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো করে বানানো হয়। সে জন্য সঠিক মানের ক্যাবল ব্যবহার করা জরুরি যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন থাকে।
### সঠিক গিয়ার পছন্দ করুন
বিদ্যুৎ চালিত জ্যাকেটের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, জ্যাকেটের হিটিং ক্ষমতা বুকের অংশে বেশি থাকে। কারন সেখানটাকে শরীরের নিরাপত্তার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিছু জ্যাকেটে হাতের অংশের জন্য কোনো হিটিং ব্যবস্থা থাকে না। তখন বুকের অংশ গরম হলেও হাত থাকে ঠান্ডা। আবার যে সকল জ্যাকেটে ফুল বডিতে হিটিং ব্যবস্থা থাকে, সেগুলোর বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকক্ষেত্রেই সমান হয় না। তাই জ্যাকেট পছন্দ করার সময় আপনার মূল প্রয়োজন কোনটি সেটি আগে নির্ধারণ করুন।
### গরমের মাত্রা নির্ধারণ করুন
সকলে সমান পরিমণ গরম সহ্য করতে পারে না। এজন্য হিটিং গিয়ারগুলোতে গরমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকে যা যে কেউ নিজের পছন্দমতো ঠিক করে নিতে পারে। সাধারণত প্রস্তুতকারকরা ১০০ থেকে ১৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের তাপমাত্রা নির্ধারণের ব্যবস্থা রাখে। তাই গিয়ার শুরুর প্রথমেই আপনার জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা নির্ধারন করে ফেলুন।
এসকল বিষয় বিবেচনায় রাখলে সহজেই একজন রাইডার তার পছন্দমতো হিটিং গিয়ার নির্ধারণ করে ফেলতে পারবে। সেই সাথে নিজ নিজ বাজেট অনুসারে তারা তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ নির্ধারণ করতে পারে।
যেকোনো বাইক বা স্কুটার রিভিউ, স্পেসিফিকেশন, ফিচারস এবং মোটরবাইকের প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন তথ্য পেতে ভিজিট করুন MotorGuide। বাংলাদেশে বিভিন্ন নতুন এবং ব্যবহৃত বাইক সম্পর্কিত তথ্য জানতে হলে চোখ রাখুন দেশের সেরা মোটরবাইক মার্কেটপ্লেস Bikroy-এ।







































