ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট এসেন্সিয়ালসঃ প্রতিটি চালক এবং আরোহীর যা অবশ্যই বহন করা উচিত

যতই সতর্ক থাকুন না কেন, গাড়িচালক বা মোটরসাইকেল আরোহীর রাস্তায় অপ্রত্যাশিত বিপদ যেকোনো সময় আসতেই পারে। এরকম জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণ আপনার জীবনকে নিরাপদ করতে পারে। টায়ার পাংচার, ব্যাটারি শেষ, ইঞ্জিন সমস্যা, হঠাৎ অসুস্থতা কিংবা দুর্ঘটনা, ইত্যাদি পরিস্থিতিতে সঠিক ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিটই আপনার ও আপনার পরিবারের জীবন বাঁচাতে পারে। তাই প্রত্যেক যানবাহনে ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ইমার্জেন্সি কিটে থাকা সাধারণ টুলস দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান সহজেই করা সম্ভব। এছাড়া যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই ব্লগে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিটস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো অবশ্যই আপনার গাড়ি বা বাইকের সঙ্গে সবসময় রাখা উচিত।
চালক এবং আরোহীর যেসব ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট অবশ্যই বহন করা উচিত
গাড়ি কিংবা মোটরবাইকের জন্য জরুরি রোডসাইড কিটস-এর মধ্যে রয়েছে - টায়ার মেরামতের উপকরণ, বেসিক টেকনিক্যাল টুলস, ফার্স্ট-এইড বক্স, জাম্প-স্টার্ট কেবল, পোর্টেবল এয়ার কম্প্রেসর, লাইট, এক্সট্রা ব্যাটারি, ইত্যাদি। সাধারণ দুর্ঘটনা, গাড়ির হঠাৎ কোনো সমস্যা, এবং খারাপ আবহাওয়ায় এসব টুলস দ্রুত সমাধান দিতে পারে। মোটরবাইকে স্পেস কম থাকায়, কম্প্যাক্ট টুলকিট বক্স, টায়ার পাংচার কিট, জাম্পার কেবল, জিপ-টাই, ইত্যাদি সিটের নিচের স্পেসে রাখা যায়।
১. গাড়ি কিংবা বাইক মেরামতের বেসিক মেকানিক্যাল টুলস
স্ক্রু ড্রাইভার সেট, প্লায়ার্স, জাম্পার কেবল, অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ, ডাক্ট টেপ ও জিপ টাই, মাল্টি-টুল ইত্যাদি বেসিক টুলস, যেকোনো যান্ত্রিক সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।
২. টায়ার এবং চাকা মেরামতের বেসিক সরঞ্জাম
টায়ার রিপেয়ার কিট, হুইল ব্রেস, টায়ার প্রেশার গেজ, টায়ার ইনফ্লেটর, হুইল চক, টর্ক রেঞ্চ, স্পেয়ার টায়ার, ইত্যাদি টায়ার ও চাকা মেরামতের বেসিক সরঞ্জাম বাহনের সাথে রাখা উচিত।
৩. বেসিক ফার্স্ট এইড কিট
এখন যানবাহনে ব্যবহৃত ছোট ফার্স্ট এইড কিট বক্স বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোতে ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক, কটন, মেডিকেল টেপ, ব্যথার ওষুধ, পোড়া জেল, ছোট কাঁচি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ইত্যাদি পাওয়া যায়।
৪. ইমার্জেন্সি সেফটি লাইট এবং ব্যাটারি
ফ্ল্যাশলাইট কিংবা রোড ফ্লেয়ার, হ্যাজার্ড ওয়ার্নিং ট্রায়াঙ্গল, রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট বা ভেস্ট, অতিরিক্ত ব্যাটারি কিংবা রিচার্জেবল ব্যাটারি, ইত্যাদি হাইওয়ে এবং রিমোট অঞ্চলে কোনো সমস্যায় দ্রুত সাহায্য পেতে খুবই দরকারি।
৫. পার্সোনাল সেফটি আইটেমস
পানি, শুকনা খাবার (বিস্কুট, চকোলেট), হুইসেল, পাওয়ার ব্যাংক, টর্চ, টিস্যু, উষ্ণ কাপড়, রেইনকোট, ছাতা, স্যানিটাইজার, নোটবুক, কলম, ছোট ছুরি, ইত্যাদি পার্সোনাল আইটেমস বাহনের সাথে রাখুন।
৬. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পেপার, ইনস্যুরেন্স কপি, ইত্যাদি যানবাহনের লিগ্যাল ডকুমেন্টস। এই পেপারস অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
৭. দূরের ভ্রমণে দরকারি জিনিস রাখুন
ছোট ফায়ার এক্সটিংগুইশার, স্পেয়ার টায়ার, টোইং রোপ, অতিরিক্ত ব্যাটারি, অতিরিক্ত ফিউজ সেট, ইঞ্জিন অয়েল, উইন্ডশিল্ড ওয়াশার ফ্লুইড, অতিরিক্ত কুল্যান্ট, ইত্যাদি দীর্ঘ ভ্রমণে দরকারি।
পরিশেষে
একটি ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট আপনাকে যেকোনো সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। এই কিটস গুলো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আপনার সময় বাঁচাবে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা হলে নিজেই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। প্রত্যেক গাড়ি চালক ও বাইক আরোহীরই উচিত, যানবাহনে একটি উন্নত মানের ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট বক্স রাখা।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১. যানবাহনে ইমার্জেন্সি রোডসাইড কিট রাখা কেন দরকারি?
ড্রাইভিং-এর সময় যেকোনো প্রাথমিক সমস্যা, যেমন টায়ার পাংচার, ব্যাটারি ডাউন, ইঞ্জিন সমস্যা কিংবা ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলে এসব কিট দিয়ে সহজেই সমাধান করা যায়।
২. ইমার্জেন্সি কিটে কী কী জিনিস অবশ্যই রাখতে হবে?
টায়ার মেরামতের উপকরণ, বেসিক টেকনিক্যাল টুলস, ফার্স্ট-এইড বক্স, জাম্প-স্টার্ট কেবল, পোর্টেবল এয়ার কম্প্রেসর, লাইট, এক্সট্রা ব্যাটারি, ইত্যাদি জিনিস অবশ্যই রাখতে হবে।
৩. বাইক চালকদের জন্য আলাদা কী কী জিনিস রাখা উচিত?
মোটরবাইকে স্পেস কম থাকায়, কম্প্যাক্ট টুলকিট বক্স, টায়ার পাংচার কিট, জাম্পার কেবল, জিপ-টাই, ইত্যাদি সিটের নিচের স্পেসে রাখা যায়।
৪. ফার্স্ট এইড কি বক্সে কী কী জিনিস থাকা উচিত?
ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক, কটন, মেডিকেল টেপ, ব্যথার ওষুধ, বার্ন জেল, ছোট কাঁচি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ইত্যাদি জিনিস থাকা উচিত।
৫. জরুরি কিট কতদিন পরপর চেক করা উচিত?
প্রতি ৬ মাস পর পর ওষুধের মেয়াদ, ইঞ্জিন অয়েল, ব্যাটারি, সবকিছু চেক করুন।






































