বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার স্পোর্টস বাইক
RUNNER একটি বাংলাদেশী মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। সাশ্রয়ী মূল্যে, নান্দনিক ডিজাইনের সাথে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণে বাইক বাজারে এনে, রানার ব্র্যান্ড জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রিলায়েবল পারফরম্যান্স, রেগুলার ব্যবহার উপযোগীতা, বিক্রয়ত্তোর সেবা, সব কিছু বিবেচনায় রানার মোটরবাইক নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করেছে।রানার স্পোর্টস বাইকগুলো নিখুঁত ইঞ্জিনিয়ারিং, শক্তিশালী ইঞ্জিন, এবং উন্নত ব্রেকিং-সাসপেনশন ফিচার অফার করে। এই ব্লগে বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার স্পোর্টস বাইক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। রানার ব্র্যান্ডের স্পোর্টস বাইকগুলো স্মার্ট ডিজাইন, লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স এবং স্পিডি রাইডিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার স্পোর্টস বাইক –
(১) Runner Bolt 165R
বাইকটিতে ১৬০ সিসির এয়ার কুল্ড কার্বুরেটেড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক এবং ২-ভালভ ফিচার বিশিষ্ট। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল এবং ৫ টি গিয়ার শিফটিং রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১৩৫ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির টোটাল ওজন ১৫০ কেজি এবং ফুয়েল ট্যাংকের ধারণ ক্ষমতা ১২ লিটার। এটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক আপসাইড-ডাউন (USD) এবং পেছনের দিকে মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ব্রেকিং সিস্টেমে উভয় চাকায় ডিস্ক টাইপ ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে টিউবলেস টায়ার এবং অ্যালয় হুইল ব্যবহার করা হয়েছে। এটির কনসোল প্যানেল সম্পূর্ণ ডিজিটাল। বাইকটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
মূল্য - বাইকটির বর্তমান বাজার দর ১৭৪,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা
(১) ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম
(২) স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিন
(৩) ইঞ্জিন কিল সুইচ
অসুবিধা
(১) পাওয়ার এবং টর্ক ক্যাপাসিটি কম
(২) সামনের সাসপেনশন কিছুটা শক্ত
(৩) এবিএস কিংবা সিবিএস নেই
(২) Runner Knight Rider
বাইকটিতে ১৫০ সিসির কার্বুরেটর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন ভার্টিক্যাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, ২-ভালভ, এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামশ্যাফট ধরণের। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল এবং ৫ টি গিয়ার শিফটিং রয়েছে। এটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ দেয় এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা রিজার্ভ সহ ১৬.৮ লিটার এবং টোটাল ওজন ১৪৩ কেজি। এটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের দিকে অ্যাডজাস্টেবল মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ব্রেকিং সিস্টেমে সামনের চাকায় হাইড্রোলিক ডিস্ক এবং পেছনের চাকায় ড্রাম টাইপ ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে অ্যালয় হুইল এবং টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল সেমি-ডিজিটাল ধরণের। এটি ইলেকট্রিক এবং সেলফ দুই ভাবেই স্টার্ট করা যায়।
মূল্য – বাইকটির বর্তমান বাজার দর ১৪২,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা
(১) জ্বালানি সাশ্রয়ী
(২) ফুয়েল ক্যাপাসিটি বেশি
(৩) ইঞ্জিন কিল সুইচ আছে
অসুবিধা
(১) ১৫০ সিসি'র বাইক অনুযায়ী পাওয়ার কিছুটা কম
(২) পিছনের চাকার ড্রাম ব্রেক
(৩) হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
(৩) Runner Knight Rider V2
বাইকটিতে ১৫০ সিসির কার্বুরেটর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন ভার্টিকাল সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, ২-ভালভ, চেইন ট্রান্সমিশন, এবং সিবিএফ ফিচার বিশিষ্ট। এটিতে ডিজিটাল সিডিআই ইগনিশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটি, রানার নাইট রাইডার-এর উপডেটেড ভার্সন। এই ভার্সনে জ্বালানি ট্যাংক, হেডলাইট ইউনিট, এবং ইঞ্জিন কাউলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১৬.৮ লিটার, এবং টোটাল ওজন ১৪৩ কেজি। এটিতে ডুয়াল ডিস্ক কম্বিনেশনের ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে। এটির সামনের দিকে হাইড্রোলিক টেলিস্কপিক এবং পেছনের দিকে মনোশক অ্যাবসর্বার সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে অ্যালয় রিম চাকা এবং টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কিক এবং ইলেকট্রিক উভয় মেথডে স্টার্ট করা যায়।
মূল্য - বাইকটির বর্তমান বাজার দর ১৫৯,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা
(১) ডুয়াল ডিস্ক ব্রেক
(২) ইঞ্জিন কিল সুইচ
(৩) বিশাল জ্বালানি ট্যাংক
অসুবিধা
(১) সরু টায়ার
(২) হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
(৩) গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স কম
(৪) Runner Turbo 125 V2
বাইকটিতে ১২৫ সিসির কার্বুরেটর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, ২-ভালভ, এয়ার কুল্ড, এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট ফিচার বিশিষ্ট। এটির ট্রান্সমিশন ম্যানুয়াল, সাথে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে। এটি থেকে আপনি প্রায় ৪৫ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১৫ লিটার এবং টোটাল ওজন ১৩৩ কেজি। এটির সামনের দিকে হাইড্রোলিক টেলিস্কপিক এবং পেছনের দিকে নাইট্রক্স শক অ্যাবসর্বার সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সামনের চাকায় সিঙ্গেল ডিস্ক এবং পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে অ্যালয় রিম বিশিষ্ট টিউব টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সকল লাইটিং সিস্টেম হ্যালোজেন ধরণের। এটি কিক এবং ইলেকট্রিক উভয় মেথডই স্টার্ট করা যায়।
মূল্য - বাইকটির বর্তমান বাজার দর ১৩৫,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা
(১) স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিন পারফরম্যান্স
(২) ফুয়েল এফিসিয়েন্ট
(৩) ফুয়েল ক্যাপাসিটি
অসুবিধা
(১) পেছনের ড্রাম ব্রেক
(২) হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
(৩) সরু টায়ার
(৫) Um Runner Xtreet 150
বাইকটিতে ১৫০ সিসির কার্বুরেটর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি এয়ার-কুল্ড, ৪-স্ট্রোক, এবং সিঙ্গেল সিলিন্ডার ফিচার বিশিষ্ট। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে। বাইকটিতে থেকে আপনি এভারেজ ৪০ কিমি/লিটার মাইলেজ এবং ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১৪.৫ লিটার এবং টোটাল ওজন ১২৭ কেজি। এটিতে কমপ্লিট ডিস্ক টাইপ ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক এবং পিছনের দিকে ডাবল ড্যাম্পার সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে অ্যালয় হুইল এবং টিউবলেস ধরণের টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল প্যানেল সেমি-ডিজিটাল ধরণের। এটিতে হ্যালোজেন হেডলাইট, এবং এলইডি টেইল লাইট-ইন্ডিকেটরস ইনস্টল করা হয়েছে। এটি কিক এবং ইলেকট্রিক উভয় মেথডই স্টার্ট করা যায়।
মূল্য - বাইকটির বর্তমান বাজার দর ১৩০,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা
(১) জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা বেশি
(২) ডুয়েল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম
(৩) ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট
অসুবিধা
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার তুলনামূলক কম
(২) টপ স্পিডে ইঞ্জিন ভাইব্রেশন করে
(৩) সরু টায়ার

































