বাংলাদেশের সেরা হোন্ডা ৫ টি লেটেস্ট স্পোর্টস বাইক
Honda, অটোমোবাইল এবং মোটরসাইকেলের বাজারে একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। কোয়ালিটি, লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স, হাই পারফর্মিং ইঞ্জিন, এবং আধুনিক প্রযুক্তির জন্য এই ব্র্যান্ডের বাইক সুপরিচিত। ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশের বাজারে এতটাই জনপ্রিয় যে, অনেকে এখনো যেকোনো মোটরসাইকেলকে হোন্ডা নামে ডাকে। হোন্ডা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাইক বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায়। এই ব্লগে বাংলাদেশের সেরা ৫ টি লেটেস্ট হোন্ডা স্পোর্টস বাইক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সেরা ৫ টি লেটেস্ট হোন্ডা স্পোর্টস বাইক –
(১) Honda CBR 150R (New)
এটি একটি এলিগেন্ট ডিজাইনের এন্ট্রি লেভেলের স্পোর্টস বাইক। এটিতে ১৪৯.১৬ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, লিকুইড কুলড এবং ৪-ভালভ বিশিষ্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে ৬-স্পিড গিয়ার ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন এবং ওয়েট-মাল্টি ডিস্ক ক্লাচ সেটআপ রয়েছে। এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম ফুয়েল ইনজেকশন। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১৪০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির সামনের দিকে ইনভার্টেড টেলিস্কোপিক এবং পেছনে সুইং আর্ম মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ব্রেকিং সেটআপ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে টিউবলেস টায়ার এবং অ্যালয় হুইল ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির কনসোল প্যানেল সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১২ লিটার। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমানে বাইকটির বাজার মূল্য – ৬০০,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা (১) এলিগেন্ট স্পোর্টি লুক (২) এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (৩) হাই-পারফরমিং ইঞ্জিন সেটআপ
অসুবিধা (১) অফরোডে কম্ফোর্টেবল নয় (২) ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই
(২) Honda CBR 150R Repsol ABS
এটি একটি অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইনের স্পোর্টস মোটরবাইক। বাইকটিতে ১৪৯.১৬ সিসি ডিসপ্লেসমেন্টের সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, ৪-ভালভ, এবং ডিওএইচসি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১৪০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটির ট্রান্সমিশন সেটআপ ম্যানুয়াল, সাথে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স এবং ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। এটিতে ফুয়েল সাপ্লাই হিসেবে প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকটির ব্রেকিং সেটআপ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সামনের দিকে ডুয়াল টেলিস্কপিক এবং পিছনের দিকে প্রো-লিংক মনোশক সুইং আর্ম সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১২ লিটার। বাইকটির ইলেকট্রিক্যাল প্যানেলটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে অফিশিয়ালি বাইকটি পাওয়া যায় না। এটির রেগুলার প্রাইস – ৪৮০,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা (১) আকর্ষণীয় ডিজাইন (২) ডুয়াল চ্যানেল এবিএস (৩) প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন
অসুবিধা (১) ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই (২) প্যাসেঞ্জার গ্র্যাবরেল নেই
(৩) Honda CB300R
এটি একটি গর্জিয়াস ডিজাইনের সুপার-স্পোর্টস বাইক। বাইকটিতে ২৮৬.০১ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, লিকুইড-কুলড, এবং ৪-স্ট্রোক ফিচার বিশিষ্ট। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, সাথে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স এবং ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৩০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১৭০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
ক্লাসি ডিজাইন, অ্যাগ্রেসিভ লুক এবং অত্যাধুনিক ফিচারের কারণে, এটি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাইকটির সামনের দিকে ইউএসডি টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনের দিকে মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ব্রেকিং সিস্টেম ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটির কনসোল প্যানেল সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম ফুয়েল ইনজেকশন। ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১০ লিটার। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাংলাদেশে বাইকটির বর্তমান দাম যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সুবিধা (১) ক্লাসি ডিজাইন (২) ডুয়েল চ্যানেল এবিএস (৩) ইঞ্জিন কিল সুইচ
অসুবিধা (১) মাইলেজ কিছুটা কম (২) কিছুটা এক্সপেন্সিভ
(৪) Honda CB150R Streetfire
এটি Honda ব্র্যান্ডের একটি স্টাইলিশ স্পোর্টস বাইক। বাইকটিতে ১৪৯.১৬ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, লিকুইড-কুলড, ৪-ভালভ, ৪-স্ট্রোক, এবং ডুয়েল ওভারহেড ক্যাম্সফ্ট ফিচার বিশিষ্ট। ইঞ্জিনটি এনজিকে স্পার্ক প্লাগ এবং ভিসকাস টাইপ পেপার ফিল্টার উপাদান দিয়ে সজ্জিত। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। এটির এভারেজ মাইলেজ প্রায় ৩৫ কিমি/লিটার, এবং টপ স্পিড প্রায় ১৩৫ কিমি/আওয়ার।
বাইকটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক এবং পিছনের দিকে মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ব্রেকিং সিস্টেম ডাবল ডিস্ক ধরণের। এটিতে অ্যালয় হুইল এবং টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১২ লিটার। এটির কনসোল প্যানেল সম্পূর্ণ ডিজিটাল। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য – ৩৮০,০০০ টাকা মাত্র।
সুবিধা (১) স্মার্ট ফ্যাশনেবল ডিজাইন (২) এনজিকে স্পার্ক প্লাগ (৩) পাওয়ারফুল ইঞ্জিন
অসুবিধা (১) এবিএস নেই (২) ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই
(৫) Honda CB150R Exmotion
এটি একটি স্মার্ট লুকিং স্টাইলিশ স্পোর্টস বাইক। এটিতে ১৪৯.০ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, এই ইঞ্জিন সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড-কুল্ড, ৪-ভালভ, এবং ডুয়েল ওভারহেড ক্যাম্সফ্ট ফিচার বিশিষ্ট। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে মাল্টিপ্লেট ওয়েট ক্লাচ এবং ৬-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে। এটি থেকে আপনি এভারেজ প্রায় ৩৫ কিমি/লিটার মাইলেজ, এবং প্রায় ১৩৫ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং এটির উভয় চাকায় হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ইউএসডি ফোর্ক এবং পিছনের দিকে মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
এটির অ্যাক্সিলারেশন অফ ভিলোসিটি টপ নচ। এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন। এটির ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৮.৫ লিটার। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটি আনঅফিশিয়াল ভাবে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এটির রেগুলার প্রাইস - ৭৫৫,০০০ টাকা।
সুবিধা (১) ক্লাসি স্পোর্টি লুক (২) প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম (৩) এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম
অসুবিধা (১) ফুয়েল ক্যাপাসিটি কম (২) গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স কম

































