সেরা ৫টি হোন্ডা মোটরবাইক ২ - ৪ লক্ষ টাকায়

Humyra Sharmind Alam
time
4 মিনিটে পড়া যাবে
feature image

হোন্ডা ব্র্যান্ড রিলায়েবিলিটি, পারফরম্যান্স এবং ইনোভেশনের প্রতীক। এটি বিশ্বের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বাইক উৎপাদনকারী ব্র্যান্ড হিসাবে সুপরিচিত। হোন্ডা প্রযুক্তি এবং মানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা এটিকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দিয়েছে। এই ব্র্যান্ডের বাইকগুলো রিজনেবল দাম এবং লং-লাস্টিং পারফরম্যান্সের কারণে বিপুল গ্রাহক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও এই ব্র্যান্ডের বাইকগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন এবং লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স দিতে পারে। এই ব্লগে ২ - ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে সেরা ৫টি হোন্ডা মোটরবাইক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।

২ - ৪ লক্ষ টাকায় সেরা ৫টি হোন্ডা মোটরবাইক

(১) Honda CB Hornet 160R ABS

এটি হোন্ডা ব্র্যান্ডের একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির মোটরসাইকেল। বাইকটিতে ১৬০ সিসির পাওয়ারফুল হোন্ডা ইকো টেকনোলজি (HET) ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, স্পার্ক ইগনিশন (SI) এবং এয়ার কুল্ড ফিচার বিশিষ্ট। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সাথে ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কার্বুরেটর।

বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ, এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার এভারেজ টপ স্পিড পেতে পারেন। এটির অন্যতম সেরা ফিচার হলো এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম সহ ডিস্ক ব্রেক। এটির ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১২ লিটার। এটিতে অ্যালয় হুইল এবং টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিন স্ট্যার্ট করার জন্য এটিতে কিক এবং ইলেক্ট্রিক দুই সিস্টেমই ইনস্টল করা হয়েছে।

বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য - ২৫৫,০০০ টাকা।

সুবিধা
(১) মজবুত স্ট্রাকচার এবং স্টাইলিশ ডিজাইন
(২) সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস
(৩) হোন্ডা ইকো টেকনোলজি (HET) ইঞ্জিন

অসুবিধা
(১) ফুয়েল ইনজেকশন টেকনোলজি নেই
(২) ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই

(২) Honda CB150R Streetfire

এটি Honda ব্র্যান্ডের একটি স্টাইলিশ নেকেড স্পোর্টস বাইক। বাইকটিতে ১৫০ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, লিকুইড-কুল্ড এবং ৪-ভালভ ওভারহেড ক্যাম্সফ্ট ধরণের। এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম প্রোগ্রামড ইনজেকশন (PGM-FI)। বাইকের ইঞ্জিনটি এনজিকে স্পার্ক প্লাগ এবং ভিসকাস টাইপ পেপার ফিল্টার উপাদান দিয়ে সজ্জিত। এটিতে ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ এবং ৬-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে। ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১২ লিটার। এটির এভারেজ মাইলেজ প্রায় ৩৫ কিমি/লিটার, এবং টপ স্পিড প্রায় ১৩৫ কিমি/আওয়ার।

মাস্কুলার লুক, ক্লাসি বডি স্ট্রাকচার, সব কিছু মিলিয়ে বাইকটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। এটিতে অ্যালয় টাইপ হুইল এবং টিউবলেস টাইপ টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এটির উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল সম্পূর্ণ ডিজিটাল।

বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য - ৩৮০,০০০ টাকা।

সুবিধা
(১) প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম
(২) এনজিকে স্পার্ক প্লাগ
(৩) ডিজিটাল ইলেকট্রিক্যাল কনসোল প্যানেল

অসুবিধা
(১) এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম নেই
(২) মাইলেজ আরো বেশি হতে পারতো

(৩) Honda X-Blade 160 ABS

এটি একটি দুর্দান্ত স্ট্যান্ডার্ড টাইপ মোটরসাইকেল। বাইকটিতে ১৬০ সিসির পাওয়ারফুল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, স্পার্ক ইগনিশন (SI) টাইপ এবং এয়ার কুল্ড। ইঞ্জিনটি বিএস-৬ টাইপ, অর্থাৎ এটির বায়ু দূষণ মাত্ৰা খুবই কম। ফুয়েল সিস্টেম কার্বুরেটর। ফুয়েল ক্যাপাসিটি ১২ লিটার। বাইকটিতে একটি বেসিক ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে এবং ৫-স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে। এটির এভারেজ মাইলেজ প্রায় ৪৫ কিমি/লিটার, এবং টপ স্পিড ১১০ কিমি/আওয়ার।

বাইকটির ডিজাইন, পারফরম্যান্স, স্পিড এবং মাইলেজ সবই অসাধারণ। এটিতে এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম সহ ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটিতে অ্যালয় হুইল এবং টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল সম্পূর্ণ ডিজিটাল। ইঞ্জিন স্ট্যার্ট করার জন্য এই বাইকে কিক এবং ইলেক্ট্রিক দুই সিস্টেমই রয়েছে।

বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য - ২২৪,০০০ টাকা।

সুবিধা
(১) এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম
(২) রোবো ফেসড এলইডি হেডল্যাম্প এবং রেজর এজ এলইডি টেইল ল্যাম্প
(৩) স্ট্রিট-টেক ইলেকট্রিক্যাল কনসোল প্যানেল

অসুবিধা
(১) পিছনের টায়ার চিকন
(২) বেশ ভারি

(৪) Hero Honda CBZ

এটি একটি স্টাইলিশ ডিজাইনের স্ট্যান্ডার্ড টাইপ মোটরবাইক। এটিতে ১৫০ সিসির স্পার্ক ইগনিশন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ইঞ্জিনটি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড, ২-ভালভ এবং ৪-স্ট্রোক ফিচার বিশিষ্ট। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৫-স্পিড গিয়ার সহ ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচ ইনস্টল করা হয়েছে। এটির ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম কার্বুরেটর। এটি কিক এবং ইলেকট্রিক উভয় মেথডেই স্টার্ট করা যায়।

বাইকটির ব্রেaking সিস্টেম সিঙ্গেল ডিস্ক টাইপ। এটিতে উন্নত মানের টিউব টায়ার এবং স্পোকি হুইল ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটি ১৯৯৯ সালে প্রথম লঞ্চ করা হয়েছিল। ভারতের ‘হিরো’ এবং জাপানের ‘হোন্ডা’ মোটর কোম্পানির যৌথ ব্যাবস্থাপনায় এটি লঞ্চ করা হয়েছিল। বর্তমানে বাইকটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

সুবিধা
(১) হাই-পারফর্মিং স্পার্ক ইগনিশন ইঞ্জিন
(২) ডুয়েল শক অ্যাবজর্বার সাসপেনশন
(৩) স্ট্যান্ডার্ড মাইলেজ এবং স্পিড

অসুবিধা
(১) ব্যাকডেটেড ফিচার
(২) লেড-এসিড টাইপ ব্যাটারি

(৫) Honda ADV 150

এটি হোন্ডা ব্র্যান্ডের একটি গর্জিয়াস ম্যাক্সি স্কুটার। এটিতে ১৫০ সিসির পাওয়ারফুল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন লিকুইড-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার এবং ৪-স্ট্রোক ধরণের। এটির ট্রান্সমিশন এবং ক্লাচ সিস্টেম সম্পূর্ণ অটোম্যাটিক, তাই কোনও গিয়ার শিফটিং-এর প্রয়োজন হয় না। এটির ইগনিশন সিস্টেম সম্পূর্ণ ট্রানজিস্টরাইজড। এটি প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন (PGM-FI) ফিচার বিশিষ্ট। এটির জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা ৮ লিটার। এটি থেকে আপনি প্রায় ৪৫ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার এভারেজ টপ স্পিড পেতে পারেন।

আধুনিক কী-লেস ইগনিশন এবং এন্টি-থেফট সিস্টেমযুক্ত ফিচারে এটি বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে। এটির সামনের ব্রেকটি স্ট্যান্ডার্ড এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত। এটি হাইওয়ে এবং সিটি উভয় রোডে চলাচলের উপযোগী। এটি চালানো খুবই সহজ, নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক।

বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য - ৪৫০,০০০ টাকা।

সুবিধা
(১) কী-লেস ট্রানজিস্টরাইজড ইগনিশন
(২) প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম
(৩) এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম

অসুবিধা
(১) বডি ডাইমেনশন অনুযায়ী ছোট হুইল
(২) জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা কম

অনুরূপ খবর

  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার স্পোর্টস বাইক

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা ৫টি রানার স্কুটার

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা ৫টি বাজাজ কমিউটার বাইক সম্পর্কে আলোচনা

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা ৫টি বাজাজ স্পোর্টস বাইক সম্পর্কে আলোচনা

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা হোন্ডা ৫ টি লেটেস্ট স্পোর্টস বাইক

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা ৫ টি হোন্ডা স্কুটার

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    সেরা ৫টি হোন্ডা মোটরবাইক ২ - ৪ লক্ষ টাকায়

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি হিরো স্কুটার

    time
    6 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    ২- ৪ লক্ষ টাকার মাঝে ৫ টি হিরো মোটরবাইক সম্পর্কে আলোচনা

    time
    7 মিনিটে পড়া যাবে
  • Buying & Selling Tips

    বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ইয়ামাহা স্পোর্টস বাইক

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে

সর্বশেষ গাড়ির রিভিউ

  • Suzuki Alto K10 2015

    Hatchback

    ৳ 800K - 1.2M

  • Toyota Aqua 2014

    Hatchback

    ৳ 1.5M - 1.6M

  • Suzuki Swift 2017

    Hatchback

    ৳ 1.7M - 2.2M

  • Toyota Vitz 2017

    Hatchback

    ৳ 1.8M - 2.3M

  • Nissan Leaf 2014

    Hatchback

    ৳ 4M - 6M

  • Mitsubishi Montero 2015

    SUV & 4X4

    ৳ 6.5M - 8.6M

  • Suzuki Wagon R 2018

    Hatchback

    ৳ 750K - 1.1M

  • Honda Civic 2019

    Saloon & Sedan

    ৳ 3.5M - 4.5M

  • Land Rover Defender 2020

    SUV & 4X4

    ৳ 14M - 18M

  • Mitsubishi Lancer 2017

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.5M - 3M

  • Toyota Axio 2016

    Saloon & Sedan

    ৳ 1.8M - 2.4M

  • Toyota Premio G Superior 2018

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.3M - 3M

সর্বশেষ বাইকের রিভিউ

  • Hero Ignitor 125 2020 IBS

    ৳ 115.7K - 128.5K

  • Honda X-Blade 160 ABS

    ৳ 194.9K - 216.5K

  • Honda Livo 110 Drum

    ৳ 107.9K - 119.9K

  • Keeway TXM 150

    ৳ 161.1K - 179K

  • Suzuki Gixxer Monotone

    ৳ 182K - 192K

  • Suzuki Gixxer SF Matt Plus

    ৳ 315K - 350K

  • Yamaha R15 S

    ৳ 409.5K - 455K

  • Hero Hunk 150 R Dual Disc ABS

    ৳ 166.1K - 232K

  • TVS Apache RTR 165 RP

    ৳ 297K - 360K

  • Suzuki Intruder FI ABS

    ৳ 247.5K - 320K

  • Suzuki Bandit 150

    ৳ 288K - 320K

  • KTM RC 125

    ৳ 333K - 566K

hero

Bikroy এ মাত্র ২ মিনিটে আপনার গাড়ি বা মোটরবাইকের বিজ্ঞাপন দিন!