সেরা Suzuki স্কুটারগুলো নিয়ে আলোচনা
শহরাঞ্চলের ব্যস্ত সড়ক পাড়ি দেয়ার জন্য স্কুটির কোনো জুড়ি নেই। এগুলোতে মাইলেজ ভালো পাওয়া যায়, বেশ আরামে রাইড করা যায় - আবার একই স্পেসিফিকেশনের বাইকের তুলনায় স্কুটির প্রাইস সাধারণত কম হয়ে থাকে। যেহেতু কম্যুটারদের জন্য পাওয়ারের তুলনায় মাইলেজ অনেক বেশি ম্যাটার করে, তাই শহরাঞ্চলে স্কুটির চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আর বাংলাদেশে ভালো মানের স্কুটি অফার করছে এমন কোম্পানীগুলোর মাঝে সুজুকি অন্যতম। তাই আজকের লেখায় আমরা আপনাদের জন্য কিছু সেরা Suzuki স্কুটার তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
১। Suzuki Burgman 125
Suzuki Burgman 125 হচ্ছে একটি ম্যাক্সি স্কুটার। এই স্কুটারে ব্যবহার করা হয়েছে ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এয়ার-কুলড ইঞ্জিন যার ডিসপ্লেসমেন্ট ১২৪ সিসি, ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ৭০০০ আরপিএমে ৮.৬০ বিএইচপি ও ম্যাক্সিমাম টর্ক ৫০০০ আরপিএমে ১০.২০ এনএম। স্কুটারে আছে কিক ও ইলেক্ট্রিক, উভয় স্টার্টিং মেথড। এই স্কুটারে অটোমেটিক ক্লাচ ব্যবহার করা হয়েছে। Suzuki Burgman 125 আপনাকে অনায়াসে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ ও ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি এনে দিতে পারবে। স্কুটারের সামনে ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক ও পেছনে থাকছে মনোশক সাসপেনশন। ব্রেকিং সেগমেন্টে থাকছে ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেকের কম্বো। কোনো ধরণের এবিএস দেয়া না হলেও, দেয়া হয়েছে সিবিএস।
২। Suzuki Access 125
আপনার যদি একদম সিম্পল-লুকিং স্কুটার পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে Suzuki Access 125 আপনার জন্য সেরা অপশন হতে পারে। এই স্কুটারে থাকছে ১২৪ সিসির ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডারের এসওএইচসি এয়ার-কুলড ইঞ্জিন যা ৮.৬০ বিএইচপি পাওয়ার ও ১০.২০ এনএম টর্ক জেনারেট করতে পারে। সাথে থাকছে কিক ও ইলেক্ট্রিক স্টার্ট এবং অটোমেটিক ক্লাচ। এই স্কুটার থেকেও আপনি ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটারের মাইলেজ ও ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার সর্বোচ্চ গতি পেয়ে যাবেন। স্কুটারের সামনে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনে থাকছে সুইং-আর্ম টাপ, কয়েল স্প্রিং সাসপেনশন। ব্রেকিং সেগমেন্টে সামনে সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক দেয়া হয়েছে। থাকছে না কোনো ধরণের এবিএস বা সিবিএস। তাই বলা যায় যে ব্রেকিং সেগমেন্টেই এই স্কুটার একটু দুর্বল।
৩। Suzuki Lets
অফিশিয়ালি Suzuki Lets - এর প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে আনঅফিশিয়াল মার্কেটে এখনো কিছু কিছু Suzuki Lets পাওয়া যায়। এই স্কুটারে ব্যবহার করা হয়েছে ১১২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, এসওএইচসি ইঞ্জিন যা ৮.৬০ বিএইচপি পাওয়ার ও ৯ এনএম টর্ক জেনারেট করতে পারে। ইঞ্জিনের অন্যান্য ফিচার সুজুকি অ্যাক্সেসের মতোই। তবে অ্যাক্সেসের তুলনায় এটিতে ৫-১০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ বেশ পাবেন এবং টপ স্পিড হবে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এই স্কুটারে সামনে দেয়া হয়েছে সুইং-আর্ম টাইপ কয়েল স্প্রিং সাসপেনশন ও পেছনে দেয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক। ব্রেকিং সেগমেন্টে সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে, দেয়া হয়নি কোনো এবিএস বা সিবিএস সাপোর্ট।
৪। Suzuki Access 125 FI CBS
রেগুলার অ্যাক্সেসের তুলনায় এটিতে দুটি মেজর পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, এতে ফুয়েল ইঞ্জেকশন ফুয়েল সাপ্লাই ব্যবহার করা হয়েছে, যা কিছুটা প্রাইসি হলেও বেশি ইফেক্টিভ। দ্বিতীয়ত, এটায় সিবিএস সাপোর্ট রয়েছে, যা ব্রেকিং সেগমেন্টকে আরো ইফেক্টিভ করবে। তবে রেগুলার অ্যাক্সেসে সামনে ডিস্ক ব্রেক দেয়া হলেও, এটায় সামনে ও পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ভার্শনের প্রাইস যেহেতু প্রায় ৫০% বেশি রাখা হচ্ছে, তাই সামনের ডিস্ক ব্রেক সরিয়ে নেয়া কিছুটা দুঃখজনক। তবুও ড্রাম ব্রেকে আপনার যদি বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে এটি কনসিডার করতে পারেন। এই ভার্শনের অন্যান্য সকল ফিচার রেগুলার অ্যাক্সেসের মতোই।
পরিসংহার
তো এই ছিল বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন সুজুকি স্কুটারগুলোর বিস্তারিত তালিকা। তালিকার প্রতিটি স্কুটার বেশ মানসম্মত ও ইউজার রিভিউগুলোও বেশ পজিটিভ। তবুও আমরা অনুরোধ করবো যে আপনার কোনো স্কুটার ভালো লেগে থাকলে সেটির বিস্তারিত ইউজার রিভিউ দেখে নিয়ে তারপর ক্রয়-সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

































