২০২৩ সালের সেরা ১০ টি বাইক সম্পর্কে আলোচনা

সময়ের সাথে সাথে মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে পরিবর্তন হচ্ছে গ্রাহকের চাহিদাও। বর্তমানে বেশির ভাগই তরুণ গ্রাহক হওয়ায়, তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে বাইকের ডিজাইনে পরিবর্তন আসছে।
দেখতে দেখতে ২০২৩ সাল একদম শেষের দিকে। চলুন জেনে নিই ২০২৩-এর সেরা ১০ টি বাইক সম্পর্কে।
২০২৩ সালের সেরা ১০ টি মোটরসাইকেল
২০২৩ সালে যে বাইকগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল, তার মূল কারণ বাইকের ডিজাইন, মূল্য এবং গ্রাহকের চাহিদা। চলুন ২০২৩ সালের ১০ টি সেরা মোটরসাইকেল বিষয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
ইয়ামাহা এফজেডএস ভিথ্রি এবিএস
এটি ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল যার ইঞ্জিন ১৫০ সিসি। বাংলাদেশে এ বাইকের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মোটরস লিমিটেড। বাইকের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১২.৮০ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম। আবার ম্যাক্সিমাম টর্ক ১২.৮০ @৬০০০ আরপিএম। বাইকের মূল্য দুই লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।
ইয়ামাহা আরফিফটিন ভিথ্রি
এ বাইকের ইঞ্জিন ১৫০ সিসি। মোটরসাইকেলটির পাওয়ার ১৯.০০ বিএইচপি এবং টর্ক ১৪.৭০ নিউটন মিটার। বাইকের মূল্য চার লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। মাইলেজ ৪০ কেএমপিএল। বাইকে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস আছে।
লিফান কেপিআর ১৬৫আর ইএফআই
লিফান কেপিআর ১৬৫আর ইএফআই মোটরসাইকেলের মূল্য দুই লক্ষ, ৩৫ হাজার টাকা। এ বাইকের ইঞ্জিন ১৬০ সিসি। মোটরসাইকেলের আছে সিবিএস ট্রেকিং সিস্টেম। মোটরসাইকেলের মাইলেজ ৪০ কেএমপিএল। পাওয়ার ১৭ বিএইচপি যা ১৭ নিউটন মিটারের টর্ক সরবরাহ করে। বাইকে আছে টিউবলেস টায়ার।
নিউ সুজুকি গিজার
এ বাইকের ইঞ্জিন ১৫০ সিসি। এই মোটরসাইকেলে আছে ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। এ বাইকের মূল্য দুই লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৫০ টাকা। এ বাইকে এবিএস আছে। মাইলেজ ৪০ কেএমপিএল। এ বাইকের ওজন ১৩৬ কেজি। বাইকের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১৪.৬০ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক ১৪.০০ @৬০০০ আরপিএম। সাথে আছে ওয়েট মাল্টিপ্লেটেড ক্লাচ।
নিউ টিভিএস Apache আরটিআর ১৬০
এ বাইকের ১৬০ সিসি ইঞ্জিন আছে যা ৪ স্ট্রোক বিশিষ্ট। ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১৬.৬০ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম। এ মোটরসাইকেল ১৪.৮০ নিউটন মিটার @ ৬৫০০ আরপিএম। বাইকটিতে কিক এবং ইলেকট্রিক দুই ধরনের স্টার্ট-এর ব্যবস্থা আছে। বাইকটিতে ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকে কার্বুরেটর ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির মূল্য ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।
হোন্ডা এক্স-ব্লেড ১৬০ এবিএস
এ বাইকটির মূল্য ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম সিংগেল চ্যানেল এবিএস। বাইকের ইঞ্জিন ১৬০ সিসি যেখানে ৪ স্ট্রোক সিংগেল সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১৩.৯০ বিএইচপি @৮৫০০ আরপিএম। আর ম্যাক্সিমাম টর্ক ১৩.৯০ নিউটন মিটার @ ৬০০০ আরপিএম। এছাড়াও বাইকটিতে আছে কার্বুরেটর ফুয়েল সাপ্লাই। বাইকে কিক এবং ইলেকট্রিক দুই ধরনের স্টার্ট সিস্টেম-ই ব্যবহার করা হয়েছে।
বাজাজ পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক এবিএস
এ বাইকে ১৫০ সিসি ইঞ্জিন আছে। সাথে আছে টুইন ডিস্ক এবিএস। বাইকের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১৩.৮০ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম। আর ম্যাক্সিমাম টর্ক ১৩.৪০ নিউটন মিটার @৬০০০ আরপিএম। বাইকে কার্বুরেটর ফুয়েল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। মাইলেজ ৪০ কেএমপিএল। বাইকের মূল্য দুই লক্ষ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। বাইকের সর্বোচ্চ গতি ১২০ কেএমপিএইচ।
টারো জিপি ভি ফোর
এ বাইকে আছে ১৬০ সিসি ইঞ্জিন। এ মোটরসাইকেলের ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ১৯.৮০ বিএইচপি এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক ১৮.০০ নিউটন মিটার। এ বাইকের মাইলেজ ৩৫ কেএমপিএল। বাইকে আছে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস। বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে টিউবলেস টায়ার। বাইকের মূল্য ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
হোন্ডা ইউনিকর্ন
এটি মূলত এক ধরনের কমিউটার বাইক। এ বাইকের দাম ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮০০ টাকা। এতে মিলবে ১৬২ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা ৭৫০০ আরপিএম-এ ১২.৯ হর্সপাওয়ার এবং ৫,৫০০ আরপিএম-এ ১৪ এনএম টর্ক তৈরি করে। বাইকে এবিএসও আছে।
হোন্ডা ড্রিম ১১০
হোন্ডা ড্রিম ১১০ একটি কমিউটার বাইক। বাইকটিতে রয়েছে ৪ স্ট্রোক বিশিষ্ট এয়ার কুল্ড সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিএস-ফোর ইঞ্জিন। বাইকটি ৭৫০০ আরপিএম -এ ৮.২৪৭ বিএইচপি ম্যাক্স পাওয়ার এবং ৫৫০০ আরপিএম -এ ৯.০৯ নিউটন মিটার ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। বাইকের দাম ১ লাখ ৪ হাজার টাকা।
উপসংহার
সব মিলিয়ে বাইক বাণিজ্যের ২০২৩ কে স্বর্ণযুগ বলা যেতে পারে। উপরিউক্ত আলোচনায় বাংলাদেশের অনেক রকমের বাইকের মধ্যে ১০ টি বাইক আলোচনা করা হয়েছে।

































