মোটরসাইকেলের ব্যাটারির যত্নআত্তি

time
6 মিনিটে পড়া যাবে
feature image

বর্তমান বিশ্বে অটোমোবাইলের জগতেও ইলেক্ট্রনিকের প্রভাব বেড়েই চলেছে। বাইকের ক্ষেত্রেও ব্যাটারির মাধ্যমেই এর স্টার্টার, হেডলাইট, হর্ন।

ইন্ডিকেটর, ইত্যাদি সব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তাই একটি সুস্থ ব্যাটারি একটি বাইকের জন্য অবশ্যই জরুরী। ব্যাটারিকে বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে চাইলে এর সঠিক ব্যবহার ও পরিচর্যা জানা জরুরী।

ব্যাটারি রিমুভাল, ব্যাটারি চার্জিং এর পূর্বে ও পরের করণীয়, এসব পদক্ষেপের মাঝখানের সতর্কতা, এগুলো সবই জেনে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই বিষয়গুলোই আমরা এখানে তুলে ধরবো।

কীভাবে বাইকের ব্যাটারি রিমুভ করবেন?

আপনার বাইকের ব্যাটারি সাধারণত আপনার রাইডার সিটের নিচে অথবা বাইকের বডির ডান বা বাম পাশে বসানো থাকে।

এটি সাধারণত কিছু স্টাইলিশ প্যানেল দিয়ে ঢাকা থাকে যেগুলো আপনার বাইক ব্যাটারিকে বাইরের কোনো আঘাত থেকে রক্ষা করে। আপনি সহজেই চাইলে এই প্যানেলগুলো রিমুভ করতে পারেন।

প্যানেল রিমুভাল- আপনার ব্যাটারির অবস্থা দেখার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার বাইকের সিট সরিয়ে ফেলতে হবে যাতে আপনি প্যানেলগুলো সরাতে পারেন।

প্যানেলগুলো সাধারণত তিনটি স্ক্রু দিয়ে আটকানো থাকে। প্যানেলগুলো সরানোর জন্য আপনাকে এই স্ক্রু তিনটি খুলতে হবে। সিট সরানোর পর প্রথমে প্যানেলের নিচের দিকের স্ক্রু টি খোলা শুরু করুন।

এরপরে প্যানেলের উপরের স্ক্রু টি খুলে ফেলুন। এ দুটি খোলা হয়ে গেলে প্যানেলের পেছনের দিকে চাকার কাছাকাছি যে স্ক্রুটি আছে, সেটি খোলার দিকে খেয়াল দিন।

সাধারণত একটু চাপা জায়গায় এই স্ক্রু টি থাকলেও একটু চেষ্টা করলেই সুন্দরভাবে আপনি স্ক্রু টি খুলে আনতে পারবেন। স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে স্ক্রু আলগা করার পর হাত দিয়ে তুলে আনার জন্য যথেষ্ট জায়গা সেখানে রয়েছে।

এ তিনটি স্ক্রু খুলে নিলেই প্যানেলটি সঠিকভাবে খুলে আসবে এবং আপনি ভিতরের ব্যাটারিটি দেখতে পারবেন।

ব্যাটারি রিমুভাল

ব্যাটারিটি সাধারণত একটি ক্ল্যাম্প দিয়ে বাইকের সাথে আটকানো থাকে। সাধারণত এই ক্ল্যাম্প বা ধাতব বন্ধনীর ডান পাশে একটি স্ক্রু থাকে যেটি আপনাকে সরাতে হবে।

ড্রেইন পাইপটিও এই ক্ল্যাম্পটির ভিতরেই আটকানো থাকে, সুতরাং খেয়াল রাখবেন যাতে স্ক্রু রিমুভ করার সময় পাইপটির কোনো ক্ষতি না হয়। এরপরে ব্যাটারির মূল অংশ রিমুভ করার পালা।

ব্যাটারি টার্মিনালকে অন্যান্য তারের কানেকশন থেকে ডিস্কানেক্ট করার জন্য তারের সংলগ্ন স্ক্রু টি রিমুভ করতে হবে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে ব্যাটারির গ্রাউন্ড/নেগেটিভ টার্মিনালটি প্রথমে রিমুভ করা হয়।

গ্রাউন্ড পজেটিভ তারটি সাধারণত একটি লাল রাবারের ক্যাপ দিয়ে ঢাকা থাকে আর গ্রাউন্ড/নেগেটিভ টার্‌মিনালের সাথে একটি মোটা তার সংযুক্ত থাকে যে তারটি বাইকের ফ্রেম বা ইঞ্জিনের সাথে কানেক্ট হয়।

এভাবে নেগেটিভ টারমিনালটি চিনে সেটি রিমুভ করবেন। অন্যথায় পজিটিভ টার্মিনাল রিমুভ করা কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ, কেননা এতে শর্ট-সার্কিট হবার সম্ভাবনা আছে।

অথবা কোনো ধাতব কিছুর সাথে সংযোগ হলে স্পার্ক হতে পারে যা থেকে আগুনও ধরতে পারে।

রেড রাবার ক্যাপটি সরিয়ে পজিটিভ টার্মিনালের স্ক্রু টি ডিস্কানেক্ট করে ফেলুন। এভাবে ব্যাটারির বাকি সব কানেকশন সরিয়ে ফেললে এরপরে আপনি সুন্দরভাবে ব্যাটারিটি খুলে আনতে পারবেন।

তবে খেয়াল রাখবেন ব্যাটারি যাতে খুব বেশি ঝাঁকানো না হয় অথবা উলটো করে না ধরা হয়।

ব্যাটারি চার্জিং এর পূর্ব প্রস্তুতি

প্রথমে ব্যাটারি চার্জ করবেন কিনা তা ঠিক করার জন্য একটি মাল্টিমিটার ব্যবহার করা ভালো।

মাল্টিমিটার আপনার ব্যাটারির ভোল্টেজ চেক করে আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে ব্যাটারিতে চার্জ লাগবে কিনা।

যদি ব্যাটারি ভোল্টেজ ১২.৫-১৩ ভোল্টেজের মধ্যা থাকে, বুঝে নেবেন আপনার ব্যাটারির চার্জের কোনো প্রয়োজন নেই।

কিন্তু যদি আপনার কাছে মাল্টিমিটার না থাকে, তাহলে দেখুন আপনার বাইকের হর্ন খুব অল্প শব্দে বাজছে কিনা, স্টার্ট নিতে বেশি সময় নিচ্ছে কিনা, ইন্ডিকেটর লাইট জ্বলতে দেরি করছে কিনা, অথবা হেডলাইটের আলো কম কিনা।

তাহলেও বুঝতে পারবেন যে ব্যাটারির চার্জের প্রয়োজন।

ব্যাটারির যদি চার্জের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে চার্জ করার পূর্বে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম বিষয় হচ্ছে, চার্জ করার আগে ব্যাটারির টার্মিনালগুলো অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে।

যদি টার্মিনালের আশেপাশে ক্ষয়ের চিহ্ন বা অ্যাসিডের দাগ দেখেন, তাহলে অবশ্যই একটি ব্রাশে বেকিং সোডা নিয়ে টার্মিনালের আশপাশটা ভালোভাবে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলবেন।

এরপরে আপনার দেখতে হবে ব্যাটারির ওয়াটার লেভেল। যদি আপনার ব্যাটারিটি ড্রাই-সেল অথবা জেল-টাইপ ব্যাটারি হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ওয়াটার লেভেল দেখার কোনো প্রয়োজন হবে না।

কিন্তু আপনার ব্যাটারি যদি ওয়েট-টাইপ লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি হয়ে থাকে, তাহলে খেয়াল রাখবেন ব্যাটারির ভেতরের তরল বা লিকুইড লেভেল যেনো অবশ্যই মিনিমাম বা সর্বনিম্ন লেভেলের নিচে থাকে এবং সর্বোচ্চ বা ম্যাক্সিমাম লেভেলের উপরে উপচে না যায়।

ভেতরের ইলেক্ট্রোলাইট লিকুইড ব্যাটারির বাইরে থেকে বুঝতে না পারলে ফ্ল্যাশলাইট বা টর্চের আলো ব্যবহার করুন।

লেভেল মিনিমামের নিচে চলে গেলে সম্পূর্ণ রোগ-জীবানুমুক্ত পাতিত পানি বা ডিস্টিল্ড ওয়াটার দিয়ে ব্যাটারিটি পরিপূর্ণ করুন। সব ঠিকঠাক থাকলে এখন ব্যাটিরির চার্জের দরকার মনে হলে সেটিকে চার্জে দিতে পারেন।

ব্যাটারি চার্জিং করার সঠিক উপায়

উপরের ব্যাখ্যা থেকে আপনারা ব্যাটারির পজিটিভ ও নেগেটিভ টার্মিনালের ব্যাপারে এরমধ্যেই বিস্তারিত জেনে গেছেন।

এখন ব্যাটারি চার্জারের লাল কানেক্টরটি ব্যাটারির পজিটিভ (+) টার্মিনালে কানেক্ট করুন এবং কালো কানেক্টরটি ব্যাটারির নেগেটিভ (-) টার্মিনালে কানেক্ট করুন।

উন্নতমানের অটোম্যাটিক ব্যাটারি চার্জারগুলো ব্যাটারির টাইপ ও স্পেসিফিকেশন বুঝে আপনাআপনিই চার্জ দিতে সক্ষম। কিন্তু ম্যানুয়াল চার্জার হলে অবশ্যই চার্জিং কারেন্ট ইনপুট লো তে নামিয়ে রাখবেন।

চার্জিং শেষ হয়ে গেলে ব্যাটারিটি আবার জায়গামতো আপনার বাইকে লাগিয়ে ফেলুন। ব্যাটারি খোলার পদ্ধতিটি উল্টোভাবে অনুসরণ করলেই আপনি খুব সহজভাবে আবার ব্যাটারিটি আগের জায়গায় লাগিয়ে ফেলতে পারবেন।

খেয়াল রাখবেন টার্মিনাল, স্ক্রু গুলো এবং প্যানেলগুলো যাতে ঠিকঠাকভাবে লাগানো হয় এবং নড়বড়ে থেকে না যায়, এবং অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পজিটিভ টার্মিনালটি যেহেতু আগে খুলেছিলেন, এবারে পজিটিভ টার্মিনালটিই আগে লাগাবেন, এবং উপরের লাল রাবার ক্যাপটি আবার জায়গামতো লাগিয়ে রাখবেন।

ড্রেইন পাইপটি যাতে বন্ধনী বা ক্ল্যাম্পের বাইরে থেকে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। পাশাপাশি ব্যাটারি আবার যথাস্থানে রাখার আগে টার্মিনাল দুটিতে হালকা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে দিতে পারেন।

এতে আপনার টার্মিনাল ক্ষয়ের সম্ভাবনা আগের চেয়ে কমে যাবে।

ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার আরও কিছু পদ্ধতি

১। ব্যাটারির চার্জ কখনোই সম্পূর্ণ ক্ষয় করে ফেলবেন না। ব্যাটারি সম্পূর্ণ ডিসচার্জ হবার আগেই লক্ষ্য করুন, খেয়াল রাখুন, তাহলে ব্যাটারি ডেড হবার সুযোগ কমে যাবে।

২। বাইক চালিয়ে এসেই ব্যাটারি গরম থাকা অবস্থায় চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ব্যাটারি ব্যবহারের পরপরই ঠান্ডা না করেই চার্জে দেওয়া ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৩। ব্যাটারির ওয়াটার লেভেল ঠিক করতে পরিষ্কার পানিই ব্যবহার করুন। ভুলে অ্যাসিড বা অন্য কোনো তরল ব্যবহার করতে যাবেন না।

দরকার হলে আবার সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট লিকুইড বদল করে নতুন করে পূর্ণ করুন। কিন্তু পরিষ্কার পানির বদলে অ্যাসিড বা অন্য কিছু ব্যবহার করবেন না।

৪। আপনার বাইকের সেলফ-স্টার্টার বাটনটি খুব বেশিক্ষণ প্রেস করে ধরে রাখলে আপনার ব্যাটারি তে চাপ পরবে এবং ব্যাটারি ক্ষয় হবার সম্ভাবনা বাড়বে। এটি করা থেকে বিরত থাকুন।

পরিশেষে

সর্বোপরি, ব্যাটারি যেহেতু আপনার বাইকের হর্ন, হেডলাইট, স্টার্‌টার সহ অনেক কিছুতে শক্তি সঞ্চালন করে, সেহেতু আপনার বাইকের অন্যান্য যন্ত্রাংশের মতো ব্যাটারিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার ব্যাটারি পরিষ্কার থাকলে, ভেতরের লিকুইডের পরিমাণ যথেষ্ট থাকলে ও চার্জ ঠিক থাকলে অবশ্যই এটি আপনার জন্য খুব সাবলীল একটি বাইকিং এক্সপেরিয়েন্স এনে দিবে।

তাই বাইকের ব্যাটারি রিমুভ করতে জানা, টার্মিনাল পরিষ্কার রাখতে জানা, এবং চার্জ দিতে পারা আপনার জন্য খুবই জরুরী।

স্পার্ক বা শর্টসার্কিট যাতে না হয়, প্রয়োজন না থাকা সত্যেও যেনো চার্জ দিয়ে না ফেলেন, সেজন্য টার্মিনালগুলো চিনে রাখা এবং ভোল্টেজ বুঝে নেওয়াও খুবই জরুরী।

কাজেই এই কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারার জন্য উপরের পদ্ধতিগুলো অবশ্যই অনুসরণ করবেন।

অনুরূপ খবর

  • DIY & Maintenance

    মোটরসাইকেলের যত্নে পাঁচটি সহজ কাজ

    time
    8 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    কী কী উপায়ে আপনার বাইকের যত্ন নিবেন

    time
    8 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    ট্রাফিক চিহ্নের ধরন, ট্রাফিক চিহ্নের গুরুত্ব, ট্র্যাফিক লাইটের কাজ।

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    Yamaha R15 এর প্রথম রাইড এর অনুভূতি কেমন ?

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    বিআরটিএ ’র ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাওয়া যাবে?

    time
    2 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    10 Best motorcycle repair shops in Dhaka

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    চট্টগ্রামের সেরা ১০টি মোটরসাইকেল সার্ভিসিং শপ

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    মোটরসাইকেলের চেইন-এর যত্ন নেবেন যেভাবে

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    মোটরসাইকেলের ব্যাটারির যত্নআত্তি

    time
    6 মিনিটে পড়া যাবে
  • DIY & Maintenance

    মোটরসাইকেল ক্লাচঃ যেভাবে ঠিকঠাক রাখবেন বাইকের ক্লাচ

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে

সর্বশেষ গাড়ির রিভিউ

  • Suzuki Alto K10 2015

    Hatchback

    ৳ 800K - 1.2M

  • Toyota Aqua 2014

    Hatchback

    ৳ 1.5M - 1.6M

  • Suzuki Swift 2017

    Hatchback

    ৳ 1.7M - 2.2M

  • Toyota Vitz 2017

    Hatchback

    ৳ 1.8M - 2.3M

  • Nissan Leaf 2014

    Hatchback

    ৳ 4M - 6M

  • Mitsubishi Montero 2015

    SUV & 4X4

    ৳ 6.5M - 8.6M

  • Suzuki Wagon R 2018

    Hatchback

    ৳ 750K - 1.1M

  • Honda Civic 2019

    Saloon & Sedan

    ৳ 3.5M - 4.5M

  • Land Rover Defender 2020

    SUV & 4X4

    ৳ 14M - 18M

  • Mitsubishi Lancer 2017

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.5M - 3M

  • Toyota Axio 2016

    Saloon & Sedan

    ৳ 1.8M - 2.4M

  • Toyota Premio G Superior 2018

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.3M - 3M

সর্বশেষ বাইকের রিভিউ

  • Hero Ignitor 125 2020 IBS

    ৳ 115.7K - 128.5K

  • Honda X-Blade 160 ABS

    ৳ 194.9K - 216.5K

  • Honda Livo 110 Drum

    ৳ 107.9K - 119.9K

  • Keeway TXM 150

    ৳ 161.1K - 179K

  • Suzuki Gixxer Monotone

    ৳ 182K - 192K

  • Suzuki Gixxer SF Matt Plus

    ৳ 315K - 350K

  • Yamaha R15 S

    ৳ 409.5K - 455K

  • Hero Hunk 150 R Dual Disc ABS

    ৳ 166.1K - 232K

  • TVS Apache RTR 165 RP

    ৳ 297K - 360K

  • Suzuki Intruder FI ABS

    ৳ 247.5K - 320K

  • Suzuki Bandit 150

    ৳ 288K - 320K

  • KTM RC 125

    ৳ 333K - 566K

hero

Bikroy এ মাত্র ২ মিনিটে আপনার গাড়ি বা মোটরবাইকের বিজ্ঞাপন দিন!