মোটরসাইকেল ধোয়ার নিয়মঃ টিপস এবং সতর্কতা

Humyra Sharmind Alam
time
8 মিনিটে পড়া যাবে
feature image

বাংলাদেশের রাস্তা মোটরসাইকেল চালানোর মতো মোটামুটি উপযোগী হলেও, দূষণীয় পরিবেশ বাইক-বাইকার কারো জন্যেই ভালো নয়। ঢাকা ও অন্যান্য শহর অঞ্চলের রাস্তায় ধুলা-বালির পরিমান অনেক বেশি, এসব বাইকের ইঞ্জিনের জন্যে ক্ষতিকর। এছাড়া বর্ষাকালের কাদা মাটি, খানাখন্দ রাস্তা, যানবাহনের ধোঁয়া, এরকম পরিবেশে বাইক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা বেশ কঠিন। এক কথায়, আপনি যতই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, আমাদের দেশের রাস্তা ঘাটে মোটরসাইকেল চালালে; শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে ঋতুই হোক, বাইক কিছুটা নোংরা হবেই। নির্দিষ্ট সময় পর পর বাইক ওয়াশ না করা হলে, বাইকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।যানবাহনের ধোঁয়া, ধূলাবালি সাধারণত বাতাসে ভেসে থাকে, তাই বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরোলে কিছু ধুলাবালি বাইকের ইঞ্জিন ও অন্যান্য কিছু পার্টসে আটকাবেই। এই ধূলাবালি হল বাইকের ইঞ্জিনে সহ আরো কিছু পার্টসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই, কাদা-মাটি, ধুলা-বালি, যানবাহনের ধোঁয়া থেকে বাইক পরিষ্কার রাখতে, মাঝে মাঝেই ওয়াশ করা দরকার। অন্তত সপ্তাহে একদিন আপনাকে বাইক ওয়াশ করতে হবে। এতে আপনার বাইক দেখতেও থাকবে নতুনের মতো, মরিচা পরবে না, দীর্ঘ দিন বাইক ব্যবহার উপযোগী থাকবে। অবশ্যই মনে রাখবেন সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে বাইক ধোয়া যাবে না। বাজারে বাইক পরিষ্কার করার জন্য এক ধরনের ওয়াশ জেল পাওয়া যায়, এই জেল ব্যবহারে বাইক থাকবে শাইনি এবং পরিষ্কার।

এই ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে মোটরসাইকেল ধোয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখানে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি নিজেই বাইক পরিষ্কার করতে পারবেন, বাইক ওয়াশ করার কিছু সাধারণ পদ্ধতি।

সাধারণ ভাবে বাইক ধোয়ার আগে খেয়াল করুন বাইকের গায়ে কাদা মাটি লেগে আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে পরিষ্কার করার জন্য পানি স্প্রে করুন। এর পর ভালো মানের ওয়াশিং লিকুইড বালতিতে মিশিয়ে পরিষ্কার কাপর দিয়ে বা ব্রাস দিয়ে পরিস্কার করুন। কাদা-মাটি না থেকে, যদি ধুলোবালি পরে, তাহলে প্রথমে শুতি কাপর দিয়ে মুছে নিবেন।

বাইক ধোয়ার ধরাবাধা কোনো নিয়ম নেই, যেহেতু যান্ত্রিক বাহন তাই কিছু পদ্ধতি জেনে রাখা ভালো। অনেকেই কর্ম ব্যাস্ততার কারণে নিজে বাইক পরিষ্কার করার সময় পান না, তারা ভালো মানের বাইক ওয়াশ সেন্টার থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর ওয়াশ এবং সার্ভিসিং করে নেবেন।

যেকোনও কিছু ভাল রাখার ব্যাপারটি নির্ভর করে সেই জিনিসটি আপনি কতটা যত্ন করছেন এবং কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। যত্নে রাখলে যেকোনো জিনিসই ভালো থাকে। যাঁরা বাইকের ব্যাপারে খুব শৌখিন তাঁরা সাধারণত নিজেরাই বাইক পরিষ্কার করেন। সবচেয়ে বড়কথা একটি পরিস্কার বাইক, বাইকারের পার্সোনালিটি এবং রুচির পরিচয় বহন করে।

নিজে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করলে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। এখানে মোটরসাইকেল ধোয়ার নিয়ম, টিপস এবং এই সম্পর্কিত কিছু সতর্কতার বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আপনার বাইককে দীর্ঘ সময় ধরে , ফিট এবং ঝরঝরে রাখতে মেনে চলুন এই পরামর্শগুলো।

মোটরসাইকেল ধোয়ার নিয়ম

প্রথম ধাপ – বাইক ধোয়ার জন্য যা যা লাগবে হাতের কাছে রাখুন

পরিষ্কার করার জিনিসগুলো প্রস্তুত করুন। যেমন - পানি রাখার জন্য একটা বালতি, ওয়াশিং জেল/শ্যাম্পু অথবা কোন ভাল ক্লিনার, আলকাতরা পরিষ্কারক, ইন্জিন ক্লিনার, হুইল পরিষ্কার করার জন্য একটি ব্রাশ, টায়ার ক্লিনার, ডাবলুডিফোর্টি (WD40), গ্লোভস, কটন স্পঞ্জ, মোছার জন্য ভাল কোন কাপড় ।

বাইক ধোয়ার সময় সাধারণ সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। এগুলোর বদলে ওয়াশ জেল/শ্যাম্পো ব্যবহার করুন। বাইক পরিষ্কারের সময় নরম স্পঞ্জি ফোম ব্যবহার করুন। কারণ শক্ত কাপড় ব্যবহার করলে পেইন্টের ক্ষতি হতে পারে।

দ্বিতীয় ধাপ – ঢালু জায়গা নির্বাচন করুন

বাইক ওয়াশ করার জন্য একটু উঁচু জায়গা নির্বাচন করুন। এতে পানি সরে যেতে পারবে। ড্রাইভ করে এসে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করবেন না, ইঞ্জিনে ঠান্ডা হবার সময় দিন। সরাসরি সূর্য্যের আলোতে বাইক ধোবেন না কারণ তাপের কারণে জেল/শ্যাম্পো বাইকের উপরিভাগেই শুকিয়ে যাবে। বাইকটি ডাবল স্ট্যান্ড করে, পানির দিয়ে আস্তে আস্তে পুরে বাইক ভিজিয়ে দিন। বিশেষ ভাবে খেয়াল করে ইঞ্জিন, ইঞ্জিনের নীচে, মাডগার্ড, সাইলেন্সার পাইপের নীচে, ভালো ভাবে পানি স্প্রে করুন। ময়লা নরম হয়ে গেলে, ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।

তৃতীয় ধাপ – ওয়াশিং জেল/শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন

প্রয়োজন মতো পানি বালতিতে নিয়ে, ওয়াশিং জেল/শ্যাম্পু ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। জেল/শ্যাম্পু মেশানো পানি, স্পঞ্জ ফোম দিয়ে ভালো ভাবে সম্পূর্ণ বাইকে লাগিয়ে নিন। ইঞ্জিনে এবং তারের জয়েন্টের জায়গা গুলোতে ব্রাশ ব্যবহার করুন। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর, নরম সুতির কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণ বাইক আস্তে আস্তে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। ইঞ্জিনে, তারের জয়েন্টের জায়গা, মার্ডগার্ড স্থান গুলোতে ব্রাশ ব্যবহার করে, পানি স্প্রে করুন। এরপর পুরো বাইকে ফুল প্রেসারে পানি স্প্রে করে ধুয়ে ফেলুন। বাইকের পেছনের অংশে, ইঞ্জিনের নিচে কাদা-মাটি লেগে আছে কিনা দেখে নিন। আবার কিছু সময় অপেক্ষা করুন, পানি ঝরে গেলে, শুকনো নরম কাপড় দিয়ে সম্পূর্ণ বাইক মুছে ফেলুন। লক্ষ্য রাখুন ইঞ্জিন বা তারের জয়েন্টের অংশে যেন পানি লেগে না থাকে, তাহলে মরিচা পরতে পারে।

চাকা পরিষ্কারের সময় শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন। চাকা, বাইকের নিচের অংশ, ব্রেকের অংশ গুলোতে ময়লা জমে শক্ত হয়ে যায়। তাই প্রথমে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নরম করে নিতে হবে। এরপর পাওয়ার স্প্রে করে স্পকেট, সুইংগার্ম, মার্টগার্ড সহ নিচের অংশ পরিষ্কার করে ফেলতে পারবেন।

চতুর্থ ধাপ – স্পঞ্জ, ন্যাকড়া, পালিশ, ব্রাশের সঠিক ব্যবহার করুন

বাইকের বিভিন্ন পার্টস বিভিন্ন ভাবে এসেম্বল করা হয়। একারণে বাইক ওয়াশ করার সময় স্পঞ্জ, ন্যাকড়া, পালিশ, ব্রাশের আলাদা ব্যবহার করতে হবে। বাইক ধোয়ার আগে ভেজানো নরম কাপড়,ধোয়ার সময় স্পঞ্জ, ধোয়ার পর শুকনো নরম কাপড় ব্যবহার করুন। গ্রিজ পরিষ্কারের সময় স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন না। চাকা এবং ইঞ্জিন পরিষ্কারে আলাদা আলাদা কাপড় এবং ব্রাশ ব্যবহার করুন।

বাইকের উপরিভাগ, যেমন, গ্যাস ট্যাংক, চেম্বার, ফেন্ডার্স, সিটিং স্পেস, ফেয়ারিংস, ওভারঅল ট্রিট প্রিন্টেড সারফেস পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং লিকুইড/জেল ব্যবহার করতে হবে, এই জায়গা গুলোতে গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন, অবশ্যই মোছার জন্য পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করবেন। অন্য দিকে, ক্রোম পার্টস প্রিন্টেড সারফেস পরিষ্কারের জন্য ক্রোম পলিশ ব্যবহার করবেন। বাজারে বাইক পরিষ্কারের জন্য বিভিন্ন লিকুইড, শাইন বাড়ানোর জন্য জেল, চাকা-ইঞ্জিনের জয়েন্ট স্মুথ রাখার জন্য অয়েল পাওয়া যায়। এগুলো বাইক ওয়াশের জন্যে ভালোই কার্যকর, বাইককে দেখতেও শাইনি করে।

পঞ্চম ধাপ – ডাবলুডিফোর্টি (WD40) ব্যবহার

ডাবলুডিফোর্টি এক ধরণের বহুল ব্যবহৃত লুব্রিকেন্ট, যা ডিগ্রিজার এবং মরিচা অপসারণ করতে ব্যবহার হয়। এটি কার্পেটিং বা আসনের মধ্যে আটকে থাকা ময়লা, গ্রিজ পরিষ্কারে ব্যবহার হয়। ফেন্ডার, লুকিং গ্লাস এবং বিভিন্ন পার্টস থেকে গ্রিজ সরাতে সাহায্য করে। রাবার এর তৈরী জিনিস, যেমন, সিটিং স্পেস, টায়ার ঠিক রাখে এবং ক্র্যাকিং প্রতিরোধ করে।

অতিরিক্ত গ্রিজ ঠিকমতো পরিষ্কারের জন্য, পানি নয়, ডাবলুডিফোর্টি ব্যবহার করা উচিত। ইঞ্জিন ক্যাবল, লিভার, আরো কিছু সেনসিটিভ জায়গা পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে, বাইকের ন্যাচারাল লub্রিকেন্ট নষ্ট হতে থাকে। সেগুলোর রিলুব্রিকান্ট এবং রিগ্রিজ করার জন্য ডাবলুডিফোর্টি ব্যবহার একটি ভাল পদ্ধতি।

ষষ্ঠ ধাপ - ভালো করে মুছে নিন

অনেকেই বাইক ধোয়া যতটা গুরুত্ব দিয়ে করেন, ধোয়া শেষ করে ভালো ভাবে মোছার কাজটা গুরুত্ব সহকারে করেননা। ইঞ্জিন এর জায়গায় এবং মেশিন পার্টসে পানি লেগে থাকলে, মরিচ পরে যাবে। সম্পূর্ণ মুছে ফেলার পরও সব জায়গার পানি নাও শুকাতে পারে, তাই ১০-১৫ মিনিট পরে ইঞ্জিনে স্টার্ট করে, ইঞ্জিন কিছুটা গরম করে নিন। এতে ইঞ্জিনের তাপে পানি শুকিয়ে যাবে।

শেষ ধাপ - চেইন লub্রিকেন্ট করে লাগিয়ে ফেলুন

মোটরসাইকেল ধোয়া এবং শুকানোর পর, চেইনের দিকে নজর দিতে হবে। বাইক পরিষ্কারের আগেই চেইন খুলে পরিষ্কার করা হয়, এর মধ্যে জমে থাকা ধুলা-ময়লা, গ্রিজ ওয়াশ করা হয়। সম্পূর্ণ বাইক ওয়াশ করা হতে হতে চেইন শুকিয়ে যায়। তখন চেইনে লুব্রিকেন্ট করতে হয়। সামান্য মবিল দিয়ে চেইনটি মুছে তারপর লুব্রিকেন্ট করুন। লুব্রিকেন্ট করা শেষ হলে চেইনের উপরে লিউব বা ওয়াক্স স্প্রে করুন। এগুলো গ্রিজ জমতে বাধা দেবে। পরবর্তীতে চেইন পরিষ্কার করা সহজ হবে। চেইন ধোয়ার সময় কোনোভাবেই ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেননা। বাজারে ভালো মানের লুব্রিকেন্ট এবং ওয়াক্স স্প্রে পাবেন, এগুলো চেইন স্মুথ করবে।

মোটরসাইকেল ধোয়ার সময় কিছু টিপস

(১) বাইকে সবচেয়ে বেশি ময়লা জমে ইঞ্জিনে, তাই ইঞ্জিনের অংশ প্রতিদিন ধুয়ে, মুছে বা স্প্রে করলে, বাইক কিছু দিন পর পর ধোয়ার বা সার্ভিসিংয়ের প্রয়োজন হবে না। এই সহজ কাজটি করতে আপনার ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না।

(২) বাইক ধোয়ার জন্য ওয়াশিং লিকুইড/জেল অথবা শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। ডিটারজেন্ট বা কেমিক্যাল এলিমেন্ট না করার পরামর্শ দেন এক্সপার্টরা। শুধুমাত্র চাকা এবং নিচের কিছু অংশের শক্ত ময়লা পরিষ্কারে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

৩) বাইক ঘষে পরিষ্কার করার জন্যে স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। ক্যাবল এবং সেনসিটিভ জায়গাগুলোতে স্প্রে করবেন।

(৪) এগজস্ট নল সবচেয়ে বেশি নোংরা হয়। এখানে জুতার দাগ, তেলতেলে ময়লা, কালী, গ্রিজ জমে শক্ত ময়লার প্রলেপ পরে। এসব ময়লা দূর করার জন্যে ক্লিনজার, ডিগ্রেজার ব্যবহার করতে পারেন।

(৫) সপ্তা খানেক পর পর পাওয়ারফুল ওয়াটার স্প্রে গান দিয়ে পুরো বাইক ধুয়ে ফেলতে পারেন। স্প্রে গান না থাকলে হোসপাইপও ব্যবহার করা যায়। এই কাজ করতেও আপনার বেশি সময় লাগবে না। (৬) বাইকের সাইনিং বাড়াতে ওয়াশ করার পর জেল/বাইক সাইনার ক্রিম ব্যবহার করুন।

মোটরসাইকেল ধোয়ার সময় কিছু সতর্কতা

(১) প্রতিদিন মোটরসাইকেল ধোয়ার প্রয়োজন নেই, এতে বাইকের ন্যাচারাল লুব্রিকেন্ট, শাইনিং নষ্ট হতে থাকে। রেগুলার ভালোভাবে মুছে ফেলা, বাতাস স্প্রে করা ভালো।

(২) প্রখর সূর্যের তাপের নিচে বাইক পার্ক করবেন না, এতে বাইকের শাইন নষ্ট হয়, ফুয়েলও বাষ্পীভূত হয়। গরম স্থানে বাইক পার্ক করবেন না, ছায়া ঘেরা, মোটামুটি ঠান্ডা স্থানে বাইক পার্ক করুন।

(৩) বাইকের উপরিভাগ পরিষ্কারে ডিটারজেন্ট বা কেমিকাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না, বাইক ক্লিনিং লিকুইড/শ্যাম্পো/জেল ব্যবহার করুন। ইঞ্জিন গরম থাকা অবস্থায় বাইক ওয়াশ করবেন না। (৪) চেইন ডিটারজেন্ট বা সাবান পানিতে ধুবেন না। এতে মরিচা জমে। স্প্রে করে পরিষ্কার করে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।

(৫) দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে বাইক ড্রাইভ করলে রোদের তাপে, অতিবেগুনি রশ্নির কারণে বাইক ডিসকালার হয়ে যায়। তাই বাইকের শাইনিং ধরে রাখতে অ্যান্টি-ইউভি জেল/পালিশ ব্যবহার করুন।

(৬) বাইকের রেডিয়েটর রেগুলার পরিষ্কার না করলে, পোকামাকড়, ধুলা-বালি জমে, ফলে বাইকের ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়।

(৭) ডিস্ক ব্রেক এবং ড্রাম ব্রেক সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করুন। এখানে পানি জমলে ব্রেকিং সিস্টেমে সমস্যা হবে। (৮) ওয়াটার রেসিস্টেন্স বাইক কভার ব্যবহার করুন। বাইক ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় কোনো ভাবেই বাইকের কভার দেবেন না।

যারা বাইক ভালোবাসেন তারা সাধারণত নিজের বাইক নিজেই পরিষ্কার করেন। হাজারো কাজের ব্যস্ততার মধ্যে তারা বাইকের সময় বের করেন। প্রতিটি পরিশ্রমের কাজেই কষ্ট আছেই, কিন্তু বাইক ওয়াশ শেষে যখন সাইনি এবং ঝকঝকে একটি বাইক আপনি সামনে দেখবেন, তখন পেছনের কষ্টটুকু ভুলে যাবেন। সব বাইকারদের সাধারণ কিছু মোটরসাইকেল ধোয়ার নিয়ম জানা উচিত। সবার এরকম সময় নাও হতে পারে, পরিচ্ছন্নতা, এবং সার্ভিসিংয়ের ব্যাপারে অনেকেই আরো সতর্ক থাকতে চান, তারা মেকানিকস/সার্ভিসিং সেন্টার থেকেই ওয়াশ করিয়ে নিতে পারেন।

অনুরূপ খবর

  • Maintenance & Care Tips

    ইঞ্জিনের আয়ু বাড়াতে নিয়মিত অয়েল পরিবর্তন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    বাইকের ক্লাচ রিপ্লেসমেন্টের এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করবেন না

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    বাংলাদেশে শীতের জন্য আপনার গাড়িকে কীভাবে প্রস্তুত করবেন

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    দীর্ঘ ছুটিতে আপনার মোটরসাইকেল বা গাড়ি কীভাবে সংরক্ষণ করবেন

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    ৫টি লক্ষণ যা দেখে বুঝবেন আপনার গাড়ির তাৎক্ষণিক সার্ভিসিং প্রয়োজন

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    টিউবলেস বনাম টিউব টায়ারঃ কোনটি নির্বাচন করবেন এবং কেন?

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    Common Bike Electrical Problems and How to Fix Them

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    ব্যয়বহুল আপগ্রেড ছাড়াই কীভাবে গাড়ির ফুয়েল এফিশিয়েন্সি বাড়াবেন

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    গাড়ির ইন্টেরিয়র ডিটেইলিং টিপসঃ কেবিন রাখুন ফ্রেশ ও স্ক্র্যাচ-ফ্রি

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    স্পোর্টস মোটরবাইকের জ্বালানি এফিশিয়েন্সি বাড়ানোর উপায়

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে

সর্বশেষ গাড়ির রিভিউ

  • Suzuki Alto K10 2015

    Hatchback

    ৳ 800K - 1.2M

  • Toyota Aqua 2014

    Hatchback

    ৳ 1.5M - 1.6M

  • Suzuki Swift 2017

    Hatchback

    ৳ 1.7M - 2.2M

  • Toyota Vitz 2017

    Hatchback

    ৳ 1.8M - 2.3M

  • Nissan Leaf 2014

    Hatchback

    ৳ 4M - 6M

  • Mitsubishi Montero 2015

    SUV & 4X4

    ৳ 6.5M - 8.6M

  • Suzuki Wagon R 2018

    Hatchback

    ৳ 750K - 1.1M

  • Honda Civic 2019

    Saloon & Sedan

    ৳ 3.5M - 4.5M

  • Land Rover Defender 2020

    SUV & 4X4

    ৳ 14M - 18M

  • Mitsubishi Lancer 2017

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.5M - 3M

  • Toyota Axio 2016

    Saloon & Sedan

    ৳ 1.8M - 2.4M

  • Toyota Premio G Superior 2018

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.3M - 3M

সর্বশেষ বাইকের রিভিউ

  • Hero Ignitor 125 2020 IBS

    ৳ 115.7K - 128.5K

  • Honda X-Blade 160 ABS

    ৳ 194.9K - 216.5K

  • Honda Livo 110 Drum

    ৳ 107.9K - 119.9K

  • Keeway TXM 150

    ৳ 161.1K - 179K

  • Suzuki Gixxer Monotone

    ৳ 182K - 192K

  • Suzuki Gixxer SF Matt Plus

    ৳ 315K - 350K

  • Yamaha R15 S

    ৳ 409.5K - 455K

  • Hero Hunk 150 R Dual Disc ABS

    ৳ 166.1K - 232K

  • TVS Apache RTR 165 RP

    ৳ 297K - 360K

  • Suzuki Intruder FI ABS

    ৳ 247.5K - 320K

  • Suzuki Bandit 150

    ৳ 288K - 320K

  • KTM RC 125

    ৳ 333K - 566K

hero

Bikroy এ মাত্র ২ মিনিটে আপনার গাড়ি বা মোটরবাইকের বিজ্ঞাপন দিন!