মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধের টিপস

অসাবধানতার কারণে প্রতিবার কারো না কারো মূল্যবান বাইকটি চোখের আড়াল থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে। অনেকে তো এই ভয়ে মোটরসাইকেল কিনতেই চান না চুরির ভয়ে। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের ৭০ শতাংশই চুরি হয় নিজ বাড়ি থেকে থেকে। বাংলাদেশে মোটরসাইকেল চুরির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র কার্যকরী উপায় হচ্ছে নিজে সচেতন থাকা। যেখানে কোন বিশেষ নিরাপত্তা নেই এমন নির্জনে গাড়ি রাখা উচিত হবে না। এতে করে চুরির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সিসি ক্যামেরার আশেপাশে আপনার বাইক পার্কিং করা সবচেয়ে নিরাপদ।
আধুনিক লক সিস্টেম, মজবুত তালা বা জিপিএস ট্র্যাকার এর মতন নিরাপত্তার সাহায্য নিলে আপনার বাইককে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। নতুন প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি এমন বেশ কিছু বাইকের লক সিস্টেম বর্তমান বাজারে পাওয়া যায়। এধরনের বাইক সম্পর্কিত বিভিন্ন এডভাইস এবং বাইক রিভিউ জানতে ভিজিট করতে পারেন Bikes Guide. ওয়েবসাইটে।
বাইক চুরি প্রতিরোধে করণীয়
কথায় বলে ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল’। বাইক চুরি প্রতিরোধে নিম্নোক্ত উপায় অবলম্বন করা যায়:
বাইক চুরি প্রতিরোধে গোপন বা কিল সুইচের ব্যবহার
গোপন সুইচ ব্যবহার করে আপনার মোটরসাইকেল চুরি হওয়া থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। বাইকের গোপন একটি স্থানে এই সুইচ সেট করে নিবেন আপনার সুবিধার জন্যে। এটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সাথে লিংক দিয়েও গোপন জায়গায় বসাতে পারেন। কিল সুইচ দিলেই বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে এবং এটি বাইক চুরি ঠেকাতে বেশ কার্যকর। এই সুইচ সেট করতে আপনার কাছাকাছি যেকোন মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার এর সাহায্য নিতে পারবেন। সম্ভব হলে ছোট সুইচ ব্যবহার করতে পারেন যাতে সহজে অন্যের নজরে না আসে।
অথেন্টিক ব্র্যান্ডের এক্সট্রা লক ব্যবহার করুন
সকল বাইকারদের উচিত মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের মজবুত তালা বা লক ব্যবহার করা। তবে নিম্নমানের তালা চাবি ব্যবহার করলে বিপদে পড়তেন পারেন,কারণ সহজেই ভেঙে ফেলা যায়। বাইকে নিরাপত্তার জন্য দুটি বা তিনটি তালাও একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এতে লক ভাঙতে সময় লাগবে। তাই এক্সট্রা লক সবসময় ব্যবহার করা জরুরি। আবার বেস্ট কোয়ালিটি দামি লক ব্যবহার করা যায়, যাতে চোরের কাছে লক ভেঙে চুরি করা বেশ জটিল লাগে। আবার ভাল কোম্পানির ডিস্ক লক এক্ষেত্রে ব্যবহার করা অনেক জরুরী।
বাইক চুরি থেকে রক্ষা পেতে ভালো ব্র্যান্ডের গ্রিপ লক এবং চেইন ব্যবহার করা নিরাপদ। অবশ্যই অরিজিনাল কোয়ালিটির মজবুত লোহার শিকল ব্যবহার করবেন চুরি প্রতিরোধে। এতে করে কোন চোরের জন্য শিকল কাটা বেশ কষ্টকর হবে
জিপিএস ট্র্যাকার ও সিকিউরিটি এলার্ম লক ব্যবহার করা উত্তম
বাজারে বেশ ভাল ব্র্যান্ডের জিপিএস ট্র্যাকার ও এলার্ম লক এখন বেশ সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যায় যেকোন মোটরসাইকেলের জন্য। এলার্ম লক সিস্টেম বাইকে থাকলে আপনার জন্য সুবিধা। এটি আপনাকে বাইক চুরি ঠেকাতে সর্তক করবে। সিকিউরিটি এলার্ম সর্বোচ্চ রেঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছায় এমন একটি বাইকে লাগানো উচিত হবে। জিপিএস ট্র্যাকার দিয়ে চুরি করা বাইকের সন্ধান করতে পারবেন খুব সহজেই। তবে ট্র্যাকার পছন্দ করবেন বেস্ট ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি দেখে যাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
সেন্সর সিস্টেম ব্যবহার করুন
সেন্সর সিস্টেম সেট করলে আপনার বাইকের নিরাপত্তা আরও বেড়ে যাবে। এই সিস্টেম থাকলে চোর আপনার মোটরসাইকেল স্টার্ট করতে পারবে না। ফলে মোটরসাইকেল চুরি ঠেকানো সম্বভ হবে।
প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান
আপনার বাসায় মোটরসাইকেল যেখানে পার্ক করবেন সেখানে বাইকের নিরাপত্তার জন্য একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে পারেন। বাসার পার্কিং এ সিসি ক্যামেরা থাকার সুবিধা হলো আপনি যখন তখন বাইকের উপর নজর রাখতে পারবেন। বাইক চুরি ঠেকাতে এই উপায় কাজে লাগতে পারে। আবার বাসার বাইরে কোথাও গেলে, বাইক এমন জায়গায় পার্ক করা উচিত যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় পড়বে।
নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করুন
বাইরে কোথাও যখন বাইক পার্কিং করবেন তখন অবশ্যই এমন একটা জায়গা বেঁছে নিবেন যেখানে আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা উপস্থিত রয়েছে। পরবর্তিতে বাইক চুরি হলেও চোরকে শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া, সিসি ক্যামেরার আশেপাশে আপনার মোটরসাইকেল পার্ক করা থাকলে চোর কোনরকম চুরি করার সুবিধা করতে পারবে না।
উপসংহার
দিন শেষে আপনার নিজের সচেতনতাই আপনার বাইককে চুরির হাত থেকে বাঁচাতে পারে।বাইক চুরি ঠেকাতে অবশ্যই ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস, সেন্সর সিস্টেম,জিপিএস ট্র্যাকার কিংবা সিকিউরিটি এলার্ম লক এসব ব্যবহার করা আপনার বাইকের জন্য উত্তম এবং নিরাপদ।বাইক সম্পর্কিত যেকোনো পার্টস কিনতে ঘুরে আসতে পারেন Bikroy-এর ওয়েবসাইটে।




































