বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে সাথে ঘুরতে যাওয়ার সুবিধাসমূহ
4 মিনিটে পড়া যাবে
4 মিনিটে পড়া যাবে

গ্রুপ রাইড বাংলাদেশে একটি ব্যাপক জনপ্রিয় একটা বিষয়, দিনে দিনে এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। এখন সোলো ট্রিপ থেকে গ্রুপ রাইডিং-এর ডিমান্ড অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। ছোট কিংবা বড় যেকোনো গ্রুপ রাইডিং-এর-ই নিজস্ব কিছু নিয়ম, সুবিধা-অসুবিধা আছে। আজ আমরা জানবো বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সুবিধা গুলো কী কী।
আমরা প্রায়শই মোটরসাইকেল গ্রুপে দীর্ঘ ভ্রমণে যাই, এক্ষেত্রে অনেকেই ছোট কিংবা বড়, কোন গ্রুপের সাথে গেলে ভালো হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকি। বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে রাইড করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যা না জানার কারণে আপনি হয়তো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশে আমাদের রাইডাররা প্রায়ই মোটরসাইকেল ভ্রমণের সময় বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে রাইড করে, সেটা একদিনের ভ্রমণ কিংবা দীর্ঘ ভ্রমণই হোক না কেনো।
চলুন বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সুবিধাগুলোর উপর আলোকপাত করা যাক-
## ফান ফ্যাক্টর
একটি বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে রাইডিং-এর ক্ষেত্রে ফান ফ্যাক্টর ব্যাপারটা বেশিরভাগ মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে মূল আকর্ষণ বলা চলে। বড় গ্রুপে রাইডিং মানে, আপনি রাস্তায় ঘুরার সময় একটা লাইভ পার্টির মজা নিচ্ছেন, ভ্রমণ গন্তব্যের মূল আকর্ষণ হচ্ছেন, দর্শনীয় স্থানে পিকনিকের মতো মজা করতে পারছেন। এইভাবে, মজা, আনন্দ এবং উপভোগ করা বড় গ্রুপ রাইডের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
## নিরাপত্তা
নিরাপত্তা বড় গ্রুপে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি। সত্যি কথা বললে, দেশের অনেকগুলো ট্যুরিস্ট স্পট একা রাইডিং বা সোলো ট্রিপ-এর জন্য খুব একটা নিরাপদ নয়, কিন্তু বাংলাদেশ এতো সুন্দর, আপনি কি তাহলে বাসায় বসে কষ্ট পাবেন নিরাপত্তার ভয়ে? কিংবা ভয়ে আর রাইডিং করবেন না? তাহলে তো ভুল হবে। আপনি যদি বড় গ্রুপের সাথে রাইডে বের হন আপনি বেশ নিরাপদে থাকতে পারবেন। তাই নিরাপত্তার দিক থেকে গ্রুপ রাইডের সুবিধা অনেক বেশি।
## সাশ্রয়ী
বড় গ্রুপে মোটরসাইকেল চালানো বা ভ্রমণ করা স্পষ্টতই অনেক বেশি সাশ্রয়ী। দলে দলে মোটরসাইকেল নিয়ে ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে খাবার, বাসস্থান বা অন্যান্য ইভেন্টে বাল্ক বা বিগ প্যাকেজ ক্রয়ের কারণে খরচ কমে আসে। আবার ট্যুর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা পরিষেবা প্রদানকারী সেন্টারগুলো বড় গ্রুপের জন্য বিভিন্ন প্রকার ডিসকাউন্ট/ছাড় অফার করে, যা ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক বড় একটা সুবিধা।
## সড়ক নিরাপত্তা
বাংলাদেশে একটি বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে রাইড করার সময় সড়ক নিরাপত্তা আরেকটি প্রধান সুবিধা। এটা সত্যই যে, একজন সিঙ্গেল রাইডারকে হাইওয়েতে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, অর্থাৎ হাইওয়েতে থাকা বেশিরভাগ গাড়ির চালকদের কাছে উপেক্ষার স্বীকার হতে হয়। আমরা কম-বেশি সবাই জানি, হাইওয়ের রাজা বাস, যেগুলো প্রায়শই মোটরসাইকেলকে বেশ তুচ্ছ মনে করে। কিন্তু গ্রুপে রাইড করলে মোটরসাইকেল আরোহীরা সাধারণত সড়ক ও মহাসড়কে আরও সচেতনভাবে সবাইকে সতর্ক করে। এইভাবে বড় দলে মোটরসাইকেল চালালে রাইডাররা সড়ক নিরাপত্তার সুবিধা পায়।
## বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ব
বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে মোটরসাইকেল চালানো বা ভ্রমণ করা স্পষ্টতই আরোহীদের মধ্যে বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে। এইভাবে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং একজন ব্যক্তি খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের মানুষের অবস্থার সাথে মিশে যাওয়ার সুবিধা পায় যা আক্ষরিক অর্থে এই দ্রুত এবং ব্যস্ত আধুনিক জীবনে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে, কারণ বর্তমান যুগ নেটওয়ার্কিং-এর যুগ। তাই আপনি দেখতে পাচ্ছেন দলে দলে মোটরসাইকেল চালানো শুধুমাত্র মজার বিষয়গুলোই লাভ করে না বরং আমাদের সামাজিক জীবনেও বেশ ভালো প্রভাব ফেলে।
## অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং
গ্রুপ বড় হলে অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং-এ রাইডাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং-এর মজা উপভোগ করে টেনশন ছাড়াই। কারণ কোনো ঝামেলা হলে, যেহেতু বড় গ্রুপে মানুষ বেশি, তাই ঝামেলা এড়ানোও তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়।
## লার্নিং কার্ভ
গ্রুপ যতো বড় হবে, ততো বেশি শেখার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, গ্রুপের সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে নতুন নতুন তথ্য বিনিময় করে, রাইডাররা অজানা অনেক কিছুই জানতে পারেন, যা একটা লার্নিং কার্ভ হিসেবে কাজ করে।
## সাপোর্ট
সাপোর্টের ক্ষেত্রে গ্রুপের মানুষদের মন-মানসিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপের রাইডারদের অবশ্যই সহযোগিতা করার মানসিকতা থাকতে হবে। বেশি মানুষ থাকলে বেশি সাপোর্ট পাওয়া যায় এইটাই সচরাচর ভেবে থাকি।
## পরিশেষে
উপরোক্ত আলোচনা পড়ে আশা করি বুঝতেই পারছেন বড় গ্রুপের সাথে রাইডিং-এর বেশ কিছু সুবিধা আছে, যার জন্যই এর জনপ্রিয়তা এতো বেশি। বড় গ্রুপের সাথে রাইডিং-এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যেমন গ্রুপ সিগন্যাল ব্যবহার করে রাইডিং করা, বিপদে এগিয়ে আসা, মিলে-মিশে চলার মন-মানসিকতা রাখা, লিডারের কথা অনুসরণ করা ইত্যাদি। এগুলো মেনে চললে আপনি আনন্দের সাথে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারবেন।
আমরা প্রায়শই মোটরসাইকেল গ্রুপে দীর্ঘ ভ্রমণে যাই, এক্ষেত্রে অনেকেই ছোট কিংবা বড়, কোন গ্রুপের সাথে গেলে ভালো হবে, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকি। বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে রাইড করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যা না জানার কারণে আপনি হয়তো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশে আমাদের রাইডাররা প্রায়ই মোটরসাইকেল ভ্রমণের সময় বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে রাইড করে, সেটা একদিনের ভ্রমণ কিংবা দীর্ঘ ভ্রমণই হোক না কেনো।
চলুন বড় মোটরসাইকেল গ্রুপের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সুবিধাগুলোর উপর আলোকপাত করা যাক-
## ফান ফ্যাক্টর
একটি বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে রাইডিং-এর ক্ষেত্রে ফান ফ্যাক্টর ব্যাপারটা বেশিরভাগ মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে মূল আকর্ষণ বলা চলে। বড় গ্রুপে রাইডিং মানে, আপনি রাস্তায় ঘুরার সময় একটা লাইভ পার্টির মজা নিচ্ছেন, ভ্রমণ গন্তব্যের মূল আকর্ষণ হচ্ছেন, দর্শনীয় স্থানে পিকনিকের মতো মজা করতে পারছেন। এইভাবে, মজা, আনন্দ এবং উপভোগ করা বড় গ্রুপ রাইডের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
## নিরাপত্তা
নিরাপত্তা বড় গ্রুপে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপকারী বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি। সত্যি কথা বললে, দেশের অনেকগুলো ট্যুরিস্ট স্পট একা রাইডিং বা সোলো ট্রিপ-এর জন্য খুব একটা নিরাপদ নয়, কিন্তু বাংলাদেশ এতো সুন্দর, আপনি কি তাহলে বাসায় বসে কষ্ট পাবেন নিরাপত্তার ভয়ে? কিংবা ভয়ে আর রাইডিং করবেন না? তাহলে তো ভুল হবে। আপনি যদি বড় গ্রুপের সাথে রাইডে বের হন আপনি বেশ নিরাপদে থাকতে পারবেন। তাই নিরাপত্তার দিক থেকে গ্রুপ রাইডের সুবিধা অনেক বেশি।
## সাশ্রয়ী
বড় গ্রুপে মোটরসাইকেল চালানো বা ভ্রমণ করা স্পষ্টতই অনেক বেশি সাশ্রয়ী। দলে দলে মোটরসাইকেল নিয়ে ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে খাবার, বাসস্থান বা অন্যান্য ইভেন্টে বাল্ক বা বিগ প্যাকেজ ক্রয়ের কারণে খরচ কমে আসে। আবার ট্যুর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা পরিষেবা প্রদানকারী সেন্টারগুলো বড় গ্রুপের জন্য বিভিন্ন প্রকার ডিসকাউন্ট/ছাড় অফার করে, যা ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক বড় একটা সুবিধা।
## সড়ক নিরাপত্তা
বাংলাদেশে একটি বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে রাইড করার সময় সড়ক নিরাপত্তা আরেকটি প্রধান সুবিধা। এটা সত্যই যে, একজন সিঙ্গেল রাইডারকে হাইওয়েতে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়, অর্থাৎ হাইওয়েতে থাকা বেশিরভাগ গাড়ির চালকদের কাছে উপেক্ষার স্বীকার হতে হয়। আমরা কম-বেশি সবাই জানি, হাইওয়ের রাজা বাস, যেগুলো প্রায়শই মোটরসাইকেলকে বেশ তুচ্ছ মনে করে। কিন্তু গ্রুপে রাইড করলে মোটরসাইকেল আরোহীরা সাধারণত সড়ক ও মহাসড়কে আরও সচেতনভাবে সবাইকে সতর্ক করে। এইভাবে বড় দলে মোটরসাইকেল চালালে রাইডাররা সড়ক নিরাপত্তার সুবিধা পায়।
## বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ব
বড় মোটরসাইকেল গ্রুপে মোটরসাইকেল চালানো বা ভ্রমণ করা স্পষ্টতই আরোহীদের মধ্যে বন্ধন এবং ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে। এইভাবে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং একজন ব্যক্তি খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের মানুষের অবস্থার সাথে মিশে যাওয়ার সুবিধা পায় যা আক্ষরিক অর্থে এই দ্রুত এবং ব্যস্ত আধুনিক জীবনে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে, কারণ বর্তমান যুগ নেটওয়ার্কিং-এর যুগ। তাই আপনি দেখতে পাচ্ছেন দলে দলে মোটরসাইকেল চালানো শুধুমাত্র মজার বিষয়গুলোই লাভ করে না বরং আমাদের সামাজিক জীবনেও বেশ ভালো প্রভাব ফেলে।
## অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং
গ্রুপ বড় হলে অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং-এ রাইডাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং অ্যাডভেঞ্চার রাইডিং-এর মজা উপভোগ করে টেনশন ছাড়াই। কারণ কোনো ঝামেলা হলে, যেহেতু বড় গ্রুপে মানুষ বেশি, তাই ঝামেলা এড়ানোও তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়।
## লার্নিং কার্ভ
গ্রুপ যতো বড় হবে, ততো বেশি শেখার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, গ্রুপের সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে নতুন নতুন তথ্য বিনিময় করে, রাইডাররা অজানা অনেক কিছুই জানতে পারেন, যা একটা লার্নিং কার্ভ হিসেবে কাজ করে।
## সাপোর্ট
সাপোর্টের ক্ষেত্রে গ্রুপের মানুষদের মন-মানসিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপের রাইডারদের অবশ্যই সহযোগিতা করার মানসিকতা থাকতে হবে। বেশি মানুষ থাকলে বেশি সাপোর্ট পাওয়া যায় এইটাই সচরাচর ভেবে থাকি।
## পরিশেষে
উপরোক্ত আলোচনা পড়ে আশা করি বুঝতেই পারছেন বড় গ্রুপের সাথে রাইডিং-এর বেশ কিছু সুবিধা আছে, যার জন্যই এর জনপ্রিয়তা এতো বেশি। বড় গ্রুপের সাথে রাইডিং-এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যেমন গ্রুপ সিগন্যাল ব্যবহার করে রাইডিং করা, বিপদে এগিয়ে আসা, মিলে-মিশে চলার মন-মানসিকতা রাখা, লিডারের কথা অনুসরণ করা ইত্যাদি। এগুলো মেনে চললে আপনি আনন্দের সাথে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারবেন।







































