মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার জন্য ৫টি সেরা উপায়

Humyra Sharmind Alam
time
5 মিনিটে পড়া যাবে
feature image

মোটরসাইকেলের জ্বালানি

সহজ করে বলতে গেলে, আপনার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন-এর শক্তি উৎপন্ন করার মূল উপাদান হলো মোটরসাইকেলের জ্বালানি। ধরুন, কোথাও ঘুরতে যাবেন, আপনার যদি সারাক্ষন জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার চিন্তা কাজ করে, তাহলে সুন্দর রাইডিং এক্সপেরিয়েন্সের একটা সুযোগ আপনি মিস করবেন। দূরের যাত্রায় তো মোটরসাইকেলের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছেই। তাছাড়া অতিরিক্ত জ্বালানি বহনের পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ের কৌশল-গুলোও আয়ত্তে আনা জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে কী হবে যেখানে আপনি একা দূরে কোথাও যাচ্ছেন, বা গ্যাস টানতে আপনার কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই? বা ধরুন গ্যাস পাম্প অনেক দূরে এবং জ্বালানিও শেষের দিকে, তৎক্ষণাৎ আপনি কি করবেন? জ্বালানি ছাড়া মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনও চলবে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান হলো আপনার সাথে আপনার মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করা।

আশা করি, Bikesguide-এর এই advise blog পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। এছাড়াও জ্বালানি সাশ্রয়ের কৌশল গুলো জেনে নিতে ভিজিট করতে পারেন Bikesguide-মোটরসাইকেলের জ্বালানি সাশ্রয় এই advise blog-এ।

অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার ৫টি সেরা উপায়

কীভাবে আপনার মোটরসাইকেল দিয়ে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করবেন? - ৫টি সেরা বিকল্প জেনে নিন। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন এর চালনাশক্তি হলো মোটরসাইকেলের জ্বালানি, এর মধ্যে আছে ‘পেট্রোল’ একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং অত্যন্ত দাহ্য উপাদান। এই জ্বালানি সংরক্ষণ বা ব্যবহারও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

অবশ্যই, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন-এর জন্য একটি মোটরসাইকেলের জ্বালানি ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা যা রাইডারকে দীর্ঘ সময় ধরে রাইডের সুযোগ দেয়। তবে, প্রতিটি মোটরসাইকেল দীর্ঘ সময় ধরে রাইডের সুযোগ দেয় না, কারণ হলো, মোটরসাইকেলের জ্বালানি ক্ষমতা সীমিত থাকে, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর তাই জেনে নিতে হবে কীভাবে একটি মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করতে হয়, যার ফলে বিপদে আপনার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনও থাকবে সচল।

এখান থেকে ৫টি সেরা বিকল্প পড়ুন এবং রাইডিং-এর সময় পরবর্তী ফুয়েল স্টেশন না আসা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ ঘুরতে থাকুন, সাথে জ্বালানি সাশ্রয়ের কৌশল - গুলো জেনে নিতে ভুলবেন না।

১। প্লাস্টিক বা মেটাল জেরিক্যান

মোটরসাইকেলে্র জ্বালানি বহন করার জন্য জেরিক্যান হল সবচেয়ে সুবিধাজনক সস্তা বিকল্প। এটি জ্বালানি বা পেট্রোল বহনের জন্যই মূলত ডিজাইন করা হয়েছে। তাছাড়া, আপনি চাইলে প্লাস্টিক বা ধাতব জেরিক্যান বেছে নিতে পারেন।

তবে একটি বিষয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত, অনুগ্রহ করে সস্তায় তৈরি কম দামের ক্যান এড়িয়ে চলুন। কথায় আছে ‘সস্তার তিন অবস্থা’, যেহেতু ব্যবহারটা জ্বালানির, তাই মানসম্পন্ন পণ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করুন। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন কে রাখুন সচল।

২। অ্যালুমিনিয়াম ফুয়েল বোতল

অল্প পরিমাণে জ্বালানি বহন করার জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফুয়েল বোতল সবচেয়ে সুবিধাজনক বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। এই ধরনের ফুয়েল বোতল সম্পূর্ণরূপে লিক-প্রুফ এবং মোটরসাইকেলে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। আপনি এটি লাগেজের পকেটে রাখতে পারেন, প্যানেল-মাউন্ট করা হোল্ডারেও রাখতে পারেন।

একটি অ্যালুমিনিয়াম বোতলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এটি হালকা ওজনের আবার ব্যবহারও খুব সহজ। শহরের রাস্তার কথা চিন্তা করলে ব্যাকআপ হিসেবে ভালোই সুবিধাজনক যেহেতু শহরে জ্বালানি স্টেশনগুলি খুব বেশি দূরত্বে থাকেনা।

৩। ফুয়েল-সেল বা ফুয়েল ব্লাডার

এটি একটি মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার জন্য সবচেয়ে প্রশংসিত এবং আধুনিক বিকল্প। ক্রস-কান্ট্রি, ট্রান্সকন্টিনেন্টাল বা বিশ্ব ভ্রমণের মতো দীর্ঘ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বা দুঃসাহসিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে, জ্বালানি-ব্লাডারগুলি সবচেয়ে সুবিধাজনক। কারণ এই ব্লাডারগুলো অত্যন্ত নমনীয়, ওজনে হালকা।

অধিকন্তু, জ্বালানি-সেলের ক্যাপাসিটি বড়। আপনি একটি ১-৫ গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন ব্লাডার পেতে পারেন। এটি বহন করা এবং বেঁধে রাখা খুব সহজ। আপনি এটিকে লাগেজ দিয়ে বেঁধে রাখতে পারবেন বা মোটরসাইকেলে যে কোনো জায়গায় ঝুলিয়েও রাখতে পারেন।

৪। আফটার মার্কেট বড় গ্যাস ট্যাঙ্ক

এটি একটি মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সমাধান। সাধারণত, লং ট্যুর-এর ক্ষেত্রে, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সচল রাখতে মোটরসাইকেলগুলিকে বৃহত্তর আফটার মার্কেট গ্যাস-ট্যাঙ্কের সাথে অন্যান্য ট্যুরিং বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে কাস্টমাইজ করা হয়।

এটি একটি মোটরসাইকেলের জ্বালানি বহন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো ও স্থায়ী বিকল্প। এটি বাইকের ওজন ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। এটি অধিক নিরাপদ এবং ঝামেলা-মুক্ত একটা উপায়।

৫। অক্জিলিয়ারী ফুয়েল ট্যাঙ্ক/ পোর্টেবল গ্যাস ট্যাঙ্ক

একটি মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার জন্য সবচেয়ে কম বেছে নেওয়া বিকল্প। এটি কিছুটা প্লাস্টিক বা ধাতব জেরিক্যান বা বোতলের মতো। এটি বাইকে মাউন্ট করা যেতে পারে এবং স্টক ট্যাঙ্কের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বহনযোগ্য ট্যাঙ্কগুলি খুব একটা কমন নয়। কিন্তু ভ্রমণের ক্ষেত্রে যেখানে অতিরিক্ত জ্বালানির প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু যদি আপনি পোর্টেবল বিকল্প যেমন ফুয়েল-সেল বা বোতল বা অন্যান্য বহন করতে পছন্দ না করেন, সেক্ষেত্রে একটি সহায়ক গ্যাস ট্যাঙ্ক যোগ করতে পারেন।

মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহনে সতর্কতা

অতিরিক্ত জ্বালানি বহন সাধারণত মোটরসাইকেল রাইডারদের জন্য সাধারণ কোনো অভ্যাস নয়। তবে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সচল রাখতে লং ট্যুর এবং অ্যাডভেঞ্চার রাইডারদের জন্য এটা ‘বিপদের বন্ধু’-র মতোই। বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে, জ্বালা্নি স্টেশনগুলি সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে। কিন্তু পাহাড়ি রাস্তায় এবং প্রান্তিক জায়গাগুলোতে অবশ্যই অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করা উচিত। মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহনে সতর্কতা-গুলোও মেনে চলা জরুরি।

  • জ্বালানি বহন করার জন্য কখনই সস্তার পাত্র বা শুধু প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করবেন না। মূল লাগেজের ভিতরে কখনই জ্বালানির পাত্র বহন করবেন না। যেকোনো ধরনের গ্যাস বা বাষ্পের ফুটোতে, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে কারণ এটি অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ।
  • আপনার শরীরের সাথে গ্যাসের ক্যান কখনো ঝুলিয়ে রাখবেন না।
  • গ্যাসের পাত্রকে সবসময় বাইকের গরম অংশ থেকে দূরে রাখুন।
  • প্রয়োজন না হলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করবেন না। মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহনে সতর্কতা বিবেচনা করে আমরা মনে করি অতিরিক্ত ক্যান খালি রাখাই ভালো। জ্বালানি সাশ্রয়ের কৌশল গুলো শিখে নিন, এতে করে অতিরিক্ত জ্বালানি বহনের টেনশন অনেকটাই কমে যাবে।

তাই, পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো, মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত জ্বালানি বহনে সতর্কতা-র প্রয়োজন। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এক কথায় বলতে চাইলে বলা যায়, ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’ - তাই আমাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন এর ধারণ ক্ষমতা বিবেচনা করে কার্যকরী পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন। জ্বালানি সাশ্রয়ের কৌশল গুলো আয়ত্তে এনে জ্বালানি সাশ্রয় করুন।

অনুরূপ খবর

  • Maintenance & Care Tips

    মোটরসাইকেল চেইনের যত্নঃ ১০টি ক্লিনিং, লুব্রিকেশন এবং অ্যাডজাস্টমেন্ট টিপস

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    বাইক তেল বেশি খাচ্ছে এটি বাইকার কিভাবে বুঝতে পারবেন?

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    মোটরবাইকের জন্য ৫ টি সেরা ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড এর সম্পর্কে আলোচনা

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    ফিল্টার প্রতিস্থাপন ছাড়াই ইঞ্জিন তেল পরিবর্তন করার উপায়

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    মোটরসাইকেলের শব্দ কমাতে ৫ টি কার্যকরী টিপস

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    ওয়াইডার টায়ার ব্যবহার: ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    কীভাবে বাইকের চাকা, রিম, হাব এবং স্পোক নির্বাচন করবেন?

    time
    5 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    শীতকালে বাইকের যত্ন কিভাবে নিতে হবে?

    time
    3 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধের টিপস

    time
    4 মিনিটে পড়া যাবে
  • Maintenance & Care Tips

    শিশুদের বাইকে চড়ার সতর্কতামূলক নির্দেশনাবলী

    time
    2 মিনিটে পড়া যাবে

সর্বশেষ গাড়ির রিভিউ

  • Suzuki Alto K10 2015

    Hatchback

    ৳ 800K - 1.2M

  • Toyota Aqua 2014

    Hatchback

    ৳ 1.5M - 1.6M

  • Suzuki Swift 2017

    Hatchback

    ৳ 1.7M - 2.2M

  • Toyota Vitz 2017

    Hatchback

    ৳ 1.8M - 2.3M

  • Nissan Leaf 2014

    Hatchback

    ৳ 4M - 6M

  • Mitsubishi Montero 2015

    SUV & 4X4

    ৳ 6.5M - 8.6M

  • Suzuki Wagon R 2018

    Hatchback

    ৳ 750K - 1.1M

  • Honda Civic 2019

    Saloon & Sedan

    ৳ 3.5M - 4.5M

  • Land Rover Defender 2020

    SUV & 4X4

    ৳ 14M - 18M

  • Mitsubishi Lancer 2017

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.5M - 3M

  • Toyota Axio 2016

    Saloon & Sedan

    ৳ 1.8M - 2.4M

  • Toyota Premio G Superior 2018

    Saloon & Sedan

    ৳ 2.3M - 3M

সর্বশেষ বাইকের রিভিউ

  • Hero Ignitor 125 2020 IBS

    ৳ 115.7K - 128.5K

  • Honda X-Blade 160 ABS

    ৳ 194.9K - 216.5K

  • Honda Livo 110 Drum

    ৳ 107.9K - 119.9K

  • Keeway TXM 150

    ৳ 161.1K - 179K

  • Suzuki Gixxer Monotone

    ৳ 182K - 192K

  • Suzuki Gixxer SF Matt Plus

    ৳ 315K - 350K

  • Yamaha R15 S

    ৳ 409.5K - 455K

  • Hero Hunk 150 R Dual Disc ABS

    ৳ 166.1K - 232K

  • TVS Apache RTR 165 RP

    ৳ 297K - 360K

  • Suzuki Intruder FI ABS

    ৳ 247.5K - 320K

  • Suzuki Bandit 150

    ৳ 288K - 320K

  • KTM RC 125

    ৳ 333K - 566K

hero

Bikroy এ মাত্র ২ মিনিটে আপনার গাড়ি বা মোটরবাইকের বিজ্ঞাপন দিন!