বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ইয়ামাহা স্পোর্টস বাইক

ইয়ামাহা কর্পোরেশন মোটরচালিত পণ্যের একটি বিখ্যাত জাপানি নির্মাতা কোম্পানি। এই কোম্পানি বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, মেরিন ইঞ্জিন-মোটর উৎপাদন করে থাকে। মোটরবাইক সেগমেন্টের মধ্যে ইয়ামাহা একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের স্পোর্ট, অ্যাডভেঞ্চার, স্ট্যান্ডার্ড, কমিউটার থেকে স্কুটার পর্যন্ত বিভিন্ন সেগমেন্টের বাইক রয়েছে। এই ব্র্যান্ডের বাইকগুলো রিলায়েবিলিটি, ডিউরেবিলিটি, পারফরম্যান্স, ইনোভেটিভ ডিজাইন এবং টেকনোলজির জন্য জনপ্রিয়। চালকের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করে ইয়ামাহা, প্রতিটি বাইক প্রস্তুত করে থাকে।
বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ইয়ামাহা স্পোর্টস বাইক –
YAMAHA R15 V4
এটি একটি এলিগেন্ট ডিজাইনের চমৎকার স্পোর্টস বাইক। এটিতে ১৫০ সিসির পাওয়ারফুল ভ্যারিয়েবল ভালভ এক্যুয়েশন (VVA) ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড, ৪ ভালভ, এবং এসওএইচসি ফিচার বিশিষ্ট। এছাড়াও ইঞ্জিনটি ফুয়েল ইনজেকশন, কুইক সিফটার, এবং ট্রাক্শন কন্ট্রোল অ্যাডভান্টেজ সম্বলিত। এটিতে এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি, এবং ইঞ্জিন কিল সুইচও রয়েছে। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। এটির কনসোল প্যানেল সম্পূর্ণ ডিজিটাল। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১৪০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস - ৬০০,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- ভ্যারিয়েবল ভালভ এক্যুয়েশন (VVA) ইঞ্জিন
- এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম
- অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটি
- ফুয়েল ইনজেকশন, এবং ট্রাক্শন কন্ট্রোল অ্যাডভান্টেজ
- ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ
অসুবিধা
- সাসপেনশন কিছুটা স্টিফ
- ফুয়েল ক্যাপাসিটি
- প্রাইস ট্যাগ
YAMAHA R15 S
এটি একটি গর্জিয়াস ডিজাইনের স্পোর্টস টাইপ মোটরবাইক। বাইকটি 'পকেট রকেট' নাম পরিচিত। এটিতে ১৫০ সিসির পাওয়ারফুল VVA ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা লিকুইড কুল্ড, ৪-স্ট্রোক, এবং সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ফিচার বিশিষ্ট। এছাড়াও ইঞ্জিনটি ফুয়েল ইনজেকশন এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট অ্যাডভান্টেজ সম্বলিত। বাইকটিতে এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম, এলসিডি ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ইঞ্জিন কিল সুইচ, ডুয়েল হর্ন, ইন-বিল্ড সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট-অফ সুইচ, ইত্যাদি সেফটি ফিচার রয়েছে। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১৪০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস - ৪১৫,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- পাওয়ারফুল VVA ইঞ্জিন
- এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম
- উচ্চ গতিতেও ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয় না
- ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ
অসুবিধা
- স্টিফ সাসপেনশন
- সিট হাইট বেশি
- উইন্ড প্রটেকশন
YAMAHA XABRE 150
বাইকটি দেখতে যেমন অসাধারণ এর ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সও তেমনই দুর্দান্ত। এটিতে ১৫০ সিসির লিকুইড কুল্ড, ৪-স্ট্রোক, এবং সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ফিচার বিশিষ্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ইঞ্জিনটি ফুয়েল ইনজেকশন এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট অ্যাডভান্টেজ সম্বলিত। এটির এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম ও সুইংআর্ম সাসপেনশন ফিডব্যাক বেশ ভালো। এটিতে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ইঞ্জিন কিল সুইচ রয়েছে। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১৩৫ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস - ৪২০,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- স্টাইলিশ স্ট্রিট ফাইটার ডিজাইন
- পাওয়ারফুল ইঞ্জিন
- ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ
- দুর্দান্ত ব্রেকিং ও সাসপেনশন ফিডব্যাক
অসুবিধা
- পেছনের চাকা অপেক্ষাকৃত চিকন
- গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স আরেকটু বেশি হতে পারতো
- পিলিয়ন সিট ছোট এবং গ্র্যাব রেইল নেই
YAMAHA M-SLAZ
এটি ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের অন্যতম সেরা এবং ফ্যাশনেবল স্পোর্টস বাইকগুলোর মধ্যে একটি। এটিতে ১৫০ সিসির ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ৪-ভাল্ভ এবং লিকুইড কুল্ড ফিচার বিশিষ্ট পাওয়ারফুল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন ফুয়েল ইনজেকশন এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট অ্যাডভান্টেজ সম্বলিত। এটিতে এবিএস না থাকলেও, টায়ার সাইজ এবং সাসপেনশন সিস্টেম টপ-ক্লাস। এটিতে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ইঞ্জিন কিল সুইচ রয়েছে। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৩৫ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১৪০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস - ৪২৫,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- টপ-ক্লাস ইঞ্জিন পারফরম্যান্স
- প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটি
- সাসপেনশনের ফিডব্যাক ভালো
- ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ
অসুবিধা
- এবিএস ব্রেকিং নেই
- পিলিয়নের সিটটি কম্ফোর্টেবল নয়
- ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি
YAMAHA MT 15
এই ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের অন্যতম হাইপ সৃষ্টিকারী একটি স্পোর্টস বাইক। বাইকটিতে ১৫০ সিসির পাওয়ারফুল ভ্যারিয়েবল ভালভ এক্যুয়েশন (VVA) ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড, ৪ ভালভ, ফুয়েল ইনজেকশন এবং এসওএইচসি ফিচার বিশিষ্ট। বাইকটির মূল আকর্ষণ হলো এটির টেকনোলজি ফিচার। ইয়ামাহার এই বাইককে ‘Master of Torque’ বলা হয়ে থাকে। এটির ব্রেকিং সিস্টেমে অ্যান্টি-লক ব্রেক এবং সাসপেনশন সিস্টেম সুইংআর্ম ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে। এটিতে ইঞ্জিন কিল সুইচ এবং ডিজিটাল কনসোল প্যানেল রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১৩০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস - ৪৩৯,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- আকর্ষণীয় ডিজাইন
- পাওয়ারফুল ভ্যারিয়েবল ভালভ এক্যুয়েশন ইঞ্জিন
- অ্যান্টি-লক ব্রেক এবং সুইংআর্ম সাসপেনশন সিস্টেম
- ৬-স্পিড গিয়ারবক্স সহ ওয়েট-মাল্টিপ্লেট এসিস্ট স্লিপার ক্লাচ
অসুবিধা
- গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স আরেকটু বেশি হতে পারতো
- পিলিয়ন সিটটি কিছুটা আনকমফোর্টেবল
- উইন্ড প্রটেকশন
মোটরসাইকেল রেসিং-এ ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের বাইক রেগুলার দেখা যায়। এই ব্লগে বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ইয়ামাহা স্পোর্টস বাইক নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। এই ব্র্যান্ডের স্পোর্টস বাইকগুলো গর্জিয়াস ডিজাইন, ইনোভেটিভ টেকনোলজি, এবং লং-লাস্টিং পারফরম্যান্সের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

































