বাংলাদেশের সেরা ১০০ সিসি মোটরসাইকেল সম্পর্কে আলোচনা
বাংলাদেশে কমিউটার বাইকের চাহিদা বেড়েছে। কেননা, এ ধরনের বাইক জ্বালানি সাশ্রয়ী। রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম। চালানোও সহজ। সুলভ মূল্য, ভাল পারফরম্যান্স ইত্যাদির জন্য গ্রাহক এ ধরনের বাইককে পছন্দ করেন। চলুন তাহলে এ বছরের সেরা ১০০ সিসি মোটরসাইকেল নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বাংলাদেশের সেরা ১০০ সিসি মোটরসাইকেল
একই সাথে ভাল পারফরম্যান্স, মান, দাম এবং ব্যবহার সহজ এইসব কিছু একত্রে পেতে চাইলে ১০০ সিসি বাইকের জুরি নেই। চলুন তাহলে বাইকগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস মাইলেজ কিং এদেশে বেশ খ্যাতি পেয়েছে। এই বাইক সাতটি রঙে তিনটি ভার্সনে বিক্রি হয়। এই বাইকে রয়েছে ৯৭.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিএস৬ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেক ৭.৯১ বিএইচপি শক্তি এবং ৮.০৫ নিউটন মিটার টর্ক পাওয়া যায়। এর সামনে ও পেছনে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক। বাইকটিতে ৯.৮ লিটার ফুয়েল ট্যাংক দিয়েছে হিরো।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স
হিরোর আরেকটি কমিউটার বাইক এইচএফ ডিলাক্স। এই মডেল ৬টি ভেরিয়েন্টে ১১টি রঙে বিক্রি হয়। এতে রয়েছে ৯৭.২ সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে ৭.৯১ বিইচপি পাওয়ার এবং ৮.০৫ নিউটন মিটার টর্ক পওয়া যাবে। বাইকটিতে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। যদিও উভয় চাকায় ড্রাম ব্রেক দিয়েছে হিরো। এর ফুয়েল ট্যাংকের ক্ষমতা ৯.১ লিটার।
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক কেবল একটি ভেরিয়েন্ট এবং চারটি রঙে পাওয়া যায়। এটি একটি ৯৭.২ সিসির বিএস৬ ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিন ৭.৯ চিএইচপি পাওয়ার এবং ৮.০৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপাদন করতে পারে। এর সামনের ও পেছনের চাকায় কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে। এই বাইকটিতে ৯.৮লিটারের ফুয়েল ট্যাংক পাবেন।
হোন্ডা শাইন ১০০
হোন্ডা শাইন ১০০ মডেল একটি ভেরিয়েন্টে ৫টি রঙে পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ৯৮.৯৮ সিসির বিএস৬ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থৈকে ৭.২৮ পাওয়ার এবং ৮.০৫ নিউটন মিটার টর্ক পাওয়া যাবে। কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেমের সঙ্গে এর উভয় পাশে ড্রাম ব্রেক রয়েছে বাইকটিতে।
টিভিএস স্পোর্ট
টিভিএস স্পোর্ট কমিউটার সেগমেন্টের জনপ্রিয় মডেল। এই বাইকটি তিনটি ভেরিয়েন্টে ৭টি রঙে পাওয়া যায়। বাইকটিতে রয়েছে ১০৯.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড ইঞ্জিন। এই বাইক থেকে ৮.১৮ পাওয়ার এবং ৮.৭ নিউটন মিটার টর্ক পাওয়া যাবে। এর জ্বালানির ধারণ ক্ষমতা ১০ লিটার।
বাজাজ ডিসকভার
এটি একটি অনেক ভালো মনের এবং স্টান্ডার্ড মডেলের বাইক। বাজাজ ডিসকভার ১০০ সি সি তে এয়ার কিন্ড ডিসি ইগনিশন ৯৪.৩৮ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাইকের সর্বোচ্চ শক্তির ৭৫০০ rpm. এই বাইকের সর্বোচ্চ গতি হয়ে থাকে ঘন্টায় ৭০ কিমি থেকে ৯০ কিমি। এ ছাড়া আছে ফোর( ৪) স্পিড গিয়ার বক্স। ৮ লিটার ফুয়েল ট্যাং ক্যাপাসিটি ব্যবহৃত হয়েছে।
রানার বুলেট
দেশীয় ব্যান্ড রানারের অত্যন্ত সুদর্শন একটি বাইক রানার বুলেট। এই বাইকের পারফরমেন্স অত্যন্ত ভালো। এটি ১০০ সিসির বাইক এবং এর ইঞ্জিন হচ্ছে এয়ার কুলিং পেট্রোল ইঞ্জিন। ৭৫০০ আরপিএম শক্তি উৎপাদন করতে ৪.৮ কিলোওয়াট শক্তি লাগে। ইলেকট্রিক এবং কিক দুইভাবেই স্টার্টিং করা যায়। বর্তমান বাজার মূল্য ৯৫ হাজার টাকা। বাজার মূল্য কিছু কম বেশি হতে পারে। ৭০ কিলোমিটারে ১ লিটার তেল লাগে।
রানার চিতা
টর্কের মাধ্যমে ৮০০০ আরপিএম শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। এক লিটার তেল দিয়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়। এছাড়া একঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পিডে যেতে পারে। কম দামে খুব ভালো বাইক এটি।
উপসংহার
বর্তমানে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেশ বিশ্বস্ত মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল। সাধ্যের মধ্যে যাতে সহজেই কেনা যায়, সেই হিসেবে ১০০ সিসি বাইক বেশ ভাল অপশন।

































