সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে ১১ টি বিষয় জানা জরুরি

অনেকেই নিজের সাধ্যের মধ্যে কেনার জন্য সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেলের খোঁজ করে থাকেন, তবে আপনি যদি প্রথমবার এই কাজটি করে থাকেন তবে তা আপনার জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কীরকম বাইক খুঁজবো? কী কী জিজ্ঞাসা করবো? আমি কি সঠিক বাইকটিই কিনছি? কেনার আগে এরকম যাবতীয় প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে আপনার মাথায়।
নিয়মিত পর্যায়ে দেশের বহু সংখ্যক মোটরবাইক বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ Bikroy.com-কে বাংলাদেশের অন্যতম মোটরবাইক কেনাবেচার মার্কেট হিসেবে একটি স্থায়ী আসন এবং স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার ক্ষেত্রেও সঠিক বাইকটি বেছে নিতে Bikroy-ই হতে পারে আপনার অন্যতম আস্থার একটি জায়গা।
আজকের লেখায় আমরা সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার আগে সতর্কতা সহ অন্যান্য যেসমস্ত বিষয়ে জানতে হবে তা নিয়ে এবং বর্তমানে দেশের বাজারে পুরাতন মোটরসাইকেলের দাম নিয়ে আলোচনা করবো।
ব্যবহৃত মোটরসাইকেল কেনার আগে যেসমস্ত বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে
নতুন মোটরসাইকেল কেনার পূর্বে তার কন্ডিশনের জন্য অনেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে না হলেও, পুরাতনের ক্ষেত্রে তা জরুরি। দেখে নিন ব্যবহৃত মোটরবাইক কেনার সময় কী কী বিষয় জেনে রাখতে হবেঃ
১. বাইকের লুক
একটি পরিছন্ন মোটরসাইকেল সবসময়ই গ্রাহকের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম। একেবারে শুরু থেকেই বিক্রেতার সাথে খোলামেলা ভাবে বাইকের ব্যাপারে আলোচনা করুন। চেষ্টা করুন মোটরসাইকেলটির খুঁটিনাটি লক্ষ্য করতে। অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র বিক্রি হওয়ার উদ্দেশ্যে বাইকটি সেই মুহূর্তের জন্য পরিছন্ন রাখেন, তবে অনেকেই আছেন যারা সত্যিই যত্ন সহকারে বাইকের দেখাশোনা করেছেন এবং সেটি বাইক দেখা মাত্রই আপনি বুঝতে পারবেন।
মোটরসাইকেলের ভেতরের অংশগুলো দেখার চেষ্টা করুন, যেই জায়গাগুলোতে সহজেই ময়লা পৌঁছাতে পারে এমন জায়গাগুলো বাইক লাভাররা সবসময় পরিষ্কার রাখেন।
২. ইঞ্জিনের শব্দ
এবার বাইকের ইঞ্জিনের শব্দ দিয়ে শুরু করা যাক। সবাই চায় তার পছন্দের বাইকের ইঞ্জিনের শব্দ শুনতে। যেহেতু ওয়ার্ম বা চালু থাকা অবস্থায় ইঞ্জিনের আওয়াজ অনেকাংশেই ঠিকঠাক শোনা যায় তাই আপনি আপনার বিক্রেতাকে অনুরোধ করতে পারেন যে আপনি উপস্থিত হওয়ার পরেই যাতে বাইক চালু করা হয়।
তবে মাঝে মাঝে সাইলেন্সার পাইপের সমস্যার কারণে ইঞ্জিনের শব্দ ভাইব্রেট বা কাঁপছে বলে আপনার মনে হতে পারে।
৩. ফ্রেম
ইঞ্জিনের শব্দ ঠিকঠাক থাকলে এবার বাইকের ফ্রেমের দিকে তাকানো যেতে পারে। ভালোভাবে লক্ষ্য করুন সেখানে কোনো দাগ, স্পট, অথবা সেটি বেঁকে গেছে কিনা। যদি আপনার কোনো কারণে মনে হয় বাইকটি এর আগে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছিল, তাহলে শুরুতেই বিক্রেতার কাছে বিস্তারিত জেনে নিন। সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন।
৪. ক্লাচ
ক্লাচ আপনার মন মতো না হলে সেটি ঠিক করে নেওয়া যেতে পারে। তবে দেখার জন্য শুরুতেই ক্লাচ টি চেপে ধরে ছাড়ুন, স্মুথ মনে হচ্ছে? টানা এবং ছেড়ে দেওয়া দুই অবস্থাতেই ক্লাচটি মসৃণ ভাবে কাজ করার কথা। এবার বাইকটি চালু করে গিয়ার দিন, ক্লাচটি হালকা করে ছাড়লেই বাইকটি আগাতে থাকবে।
৫. ব্রেকিং সিস্টেম
ক্লাচ চেক করার পরে বাইকটি নিয়ে চালিয়ে দেখুন। কিছুটা গতিতে থাকা অবস্থায় সামনের ব্রেকে চাপ দিন। কোনো ধরণের আওয়াজ ছাড়াই বাইকটি সেই জায়গাতেই স্থির হয়ে যাবে। এবার আস্তে আস্তে ব্রেক ছেড়ে ক্লাচে হাত দিয়ে পিকআপ বাড়ালেই বাইকটি এগোতে থাকবে পুনরায়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় আপনার কোথাও সমস্যা বোধ হলে অতিসত্বর বিক্রেতার সাথে কথা বলে তা ঠিক করানোর বা আপনি যেমন চাইছেন তেমন করানোর ব্যবস্থা করুন। ব্যবহৃত মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে ব্রেকিং সিস্টেম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ, তাই আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সব ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিতে ভুলবেন না।
মোটরসাইকেল সেফটি গিয়ার কিনে নিতে ভুলবেন না।
আমরা আশা করি আমাদের আজকের লেখার মাধ্যমে আপনার সেকেন্ড হ্যান্ড মোটরসাইকেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে রিসার্চ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।
হ্যাপি রাইডিং!


































