২-৪ লক্ষ টাকার ইয়ামাহা মোটরবাইক সম্পর্কে আলোচনা
ইয়ামাহা একটি বিখ্যাত জাপানি মোবিলিটি ম্যানুফ্যাকচারার ব্র্যান্ড। ইয়ামাহা কর্পোরেশন মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, মেরিন ইঞ্জিন-মোটর উৎপাদন করে থাকে। এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হিসেবে সুপরিচিত। এই ব্র্যান্ডের বাইকগুলো লং-লাস্টিং পারফরম্যান্স, রিলায়েবিলিটি, সাস্টেইনেবিলিটি, এবং ইনোভেশনের জন্য বিখ্যাত।
২-৪ লক্ষ টাকার ইয়ামাহা মোটরবাইক –
YAMAHA FZ-X
এটি একটি গর্জিয়াস ডিজাইনের ক্যাফে রেসার টাইপ বাইক। এটির রেট্রো লুকিং মেটালিক বডি স্ট্রাকচার এবং বাইফাংশনাল এলইডি প্রজেকশন হেডলাইট, যেকারো নজর কাড়বে। বাইকটিতে ১৫০ সিসির ৪ স্ট্রোক, ২-ভাল্ভ, এসওএইচসি, এয়ার-কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও এটিতে ফুয়েল ইনজেকশন টেকনোলজি রয়েছে। এতে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স সহ মাল্টি-ডিস্ক ওয়েট ক্লাচ রয়েছে। এটির উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক সহ সামনের চাকায় সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটির বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস – ৩০৪৫০০/= টাকা।
সুবিধা
- স্মার্ট এবং এলিগেন্ট লুকিং
- স্টাইলিশ হেডলাইট সেটাপ
- অসাধারণ মাইলেজ
অসুবিধা
- গিয়ার চেঞ্জিং ইন্ডিকেটর
- টার্নিং রেডিয়াস বেশি
Yamaha Fazer FI V2
এটির একটি আকর্ষণীয় ডিজাইনের স্ট্যান্ডার্ড টাইপ মোটরবাইক। এই বাইকটিতে রয়েছে একটি ১৫০ সিসি ৪-স্ট্রোক, ২ ভাল্ভ, এসওএইচসি, এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন। এছাড়াও এটিতে স্পার্ক ইগনিশন এবং ফুয়েল ইনজেকশন টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এটির ব্রেকিং সিস্টেমে ডিস্ক এবং ড্রাম ব্রেকের সমন্বয় রয়েছে। সাসপেনশন রেস্পন্স বেশ ভালো। স্মুথ ট্রান্সমিশনের জন্য এতে রয়েছে একটি বেসিক ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ এবং একটি ৫-স্পিড গিয়ারবক্স। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং ১১০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটির বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস – ৩২৫০০০/= টাকা।
সুবিধা
- অ্যাট্রাকটিভ ডিজাইন
- কমফোর্টেবল রাইডিং পজিশন
- ভালো হ্যান্ডেলিং এবং কন্ট্রোলিং
অসুবিধা
- পিছনের ড্রাম ব্রেক
- হ্যালোজেন লাইটিং সেটআপ
Yamaha FZS FI Double Disc
এটিতে ১৫০ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন এয়ার-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ২-ভালভ, এবং ৪-স্ট্রোক ফিচার বিশিষ্ট। এছাড়াও এটি স্পার্ক ইগনিশন, ফুয়েল ইনজেকশন এবং সিঙ্গেল ওভার হেড ক্যামস্যাফট সুবিধা সম্বলিত। এটিতে অটোম্যাটিক হেডলাইট অন (AHO) ফিচার রয়েছে। এটির উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাইকটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স এবং ওয়েট মাল্টিপ্লেট-ডিস্ক ক্লাচ ইনস্টল করা হয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি কিক এবং ইলেকট্রিক উভয় মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটির বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস – ২২৫,৫০০/= টাকা।
সুবিধা
- এলিগেন্ট ডিজাইন এবং মজবুত বডি স্ট্রাকচার
- দুর্দান্ত স্পিড এবং স্মুথ অ্যাক্সিলারেশন
- ফুয়েল ইনজেকশন টেকনোলজি
- ইঞ্জিন কিল সুইচ
অসুবিধা
- এবিএস কিংবা সিবিএস নেই
- হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
- গিয়ার ইনডিকেটর নেই
Yamaha FZS V3 ABS
এটি একটি ডিসেন্ট ডিজাইনের স্ট্যান্ডার্ড টাইপ মোটরবাইক। এটিতে ১৫০ সিসির ফুয়েল ইনজেকশন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা এয়ার-কুলড ৪-স্ট্রোক, SOHC, ২-ভালভ, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ফিচার বিশিষ্ট। এটিতে এন্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। বাইকটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ৫-স্পিড গিয়ারবক্স এবং ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচ ইনস্টল করা হয়েছে। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১২০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটির বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস – ২৫৬,৫০০/= টাকা।
সুবিধা
- চমৎকার বিল্ড কোয়ালিটি
- স্ট্যান্ডার্ড মাইলেজ
- দুর্দান্ত কনট্রোল এবং কমফোর্ট
অসুবিধা
- হেডলাইট পাওয়ার কম
- হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
YAMAHA VIXION R 155
এটি একটি চমৎকার ডিজাইনের নেকেড স্পোর্টস বাইক। এটিতে ভিভিএ টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে ১৫০ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, লিকুইড কুল্ড, এসওএইচসি এবং ফুয়েল ইঞ্জেকশন ফিচার বিশিষ্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। স্মুথ ট্রান্সমিশনের জন্য এটিতে রয়েছে অ্যাসিস্ট-স্লিপার ক্লাচ এবং ৫-স্পিড গিয়ারবক্স। এতে রয়েছে ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১৩০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন। এটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
বাইকটির বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস – ৩৬০,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- আকর্ষণীয় ডিজাইন
- পাওয়ারফুল ইঞ্জিন
- ভালো হ্যান্ডেলিং এবং কন্ট্রোলিং
অসুবিধা
- এবিএস নেই
- হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
YAMAHA FZS V2
এটি একটি পারফর্মিং স্ট্যান্ডার্ড টাইপ বাইক। এটিতে ১৫০ সিসির শক্তিশালী ব্লু-কোর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা এয়ার-কুল্ড, ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট, এবং ফুয়েল ইনজেকশন ফিচার বিশিষ্ট। বাইকটির ট্রান্সমিশন সিস্টেম ম্যানুয়াল, এখানে ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচ সহ একটি ৫-স্পিড কনস্ট্যান্ট মেশ গিয়ারবক্স রয়েছে। এটি একটি আল্ট্রা ফ্লিকেবল বাইক, তাই যানজট পূর্ণ রাস্তায় কিংবা টপ স্পিডে কম্ফোর্টেবল ভাবে মুভমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়াও ইকো-মোড ইন্ডিকেটর থাকায় আপনি বেশ ভালো মাইলেজ সুবিধা পাবেন। বাইকটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়। বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ১১৫ কিকি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
বাইকটির বর্তমান অফিশিয়াল প্রাইস – ২৪৯,০০০/= টাকা।
সুবিধা
- ব্লু-কোর এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট টাইপ ইঞ্জিন
- ফুয়েল ইনজেকশন টেকনোলজি
- ইঞ্জিন কিল সুইচ
অসুবিধা
- এবিএস কিংবা সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম নেই
- পিছনের ড্রাম ব্রেক
- হ্যালোজেন লাইটিং সিস্টেম
ইয়ামাহা কোম্পানি স্পোর্টস, রেসিং, ক্রুইজার, ট্যুরিং, স্ট্যান্ডার্ড, কমিউটার, স্কুটার, ইত্যাদি প্রায় সব ক্যাটাগরির বাইক তৈরী করে। এই ব্র্যান্ডের বর্তমান এবং আপডেটেড ভার্সন বাইকগুলো ইমিশন স্ট্যান্ডার্ড এবং পরিবেশ বান্ধব। এই ব্লগে ২-৪ লক্ষ টাকার ইয়ামাহা মোটরবাইক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।

































